সকলেই চান তাঁদের সন্তান যেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও মেধাবির অধিকারী হয়। তাই তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার বাবা-মায়েদের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ৫ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ সুম্পন্ন হয়ে যায়। এই বয়সে বাবা-মায়ের কিছু সাধারণ পন্থা অবলম্বন করলেই সে হয়ে উঠবে স্মার্ট।
কথায় বলে শিশুরা সাদা কাগজের মতো। তাদের যা শেখাবেন, যেমন করে তৈরি করবেন তারা তেমনটাই শিখবে। শৈশব থেকেই শিশুরা শিখতে শুরু করে। আর যে বিষয়গুলি শিখছে সেগুলি তাদের উন্নত বিকাশে সহায়তা করে। শৈশবে তার কী শিখল বা জানল তা জানা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বাবা-মা হিসেব।
একটি শিশুর মুখে বুলি ফুটতে শুরু করলে তার অন্যান্য শারীরিক বিকাশ ঘটতে থাকে। এটি শিশুর সামগ্রিক বিকাশের দিকেও ইঙ্গিত করে। তাই এই সময় বাচ্চাদের কিছু শারীরিক ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বাবা-মা হিসেবে কী করবেন?
টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, এসএল রাহেজা হাসপাতালের পরামর্শদাতা এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অস্মিতা মহাজন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁর মতে বাবা-মায়েরা স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, উপলব্ধি এবং একাগ্রতা তৈরি করতে পারে এমন কার্যকলাপ করা উচিত। এতে সন্তানের জ্ঞানীয় দক্ষতা বৃদ্ধি বেড়ে যাবে।
বর্ণমালা দিয়ে শুরু হোক শিক্ষা
শিশুদের জ্ঞানের দক্ষতার বিকাশের জন্য বর্ণমালাটা জানা বা চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের অক্ষর গান, বই এবং ধাঁধার মাধ্যমে শেখাতে পারেন। এছাড়াও,ছবির বই বা রং পেনসিল দিয়ে অক্ষরের সঙ্গে পরিচয় করাতে পারেন, যা তার মস্তিষ্ক বিকাশে সাহায্য করবে। তাই আপনার শিশুর সঙ্গে কথা বলার সময় রং চিনতে শেখান।
গেমের সাহায্য নিতে পারেন
গেমস শিশুদের সমস্যা সমাধান করতে এবং মস্তিষ্কের সৃজনশীল অংশকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। যা বুদ্ধির বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। শিশু তার বয়স অনুযায়ী গেম খেলতে পারে। নানা আকারের গেমস বা গেম ছোটদের জন্য ভালো। সন্তানের বয়স যদি ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য পাজলগেম ভালো হতে পারে৷
ঘুরতে নিয়ে যান
শিশুকে জাদুঘর, লাইব্রেরির মতো জায়গায় নিয়ে যান। এতে শিশুর জ্ঞানীয় বিকাশের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। শিশু এখানে অনেক কিছু দেখতে পারবে, যার ফলে তার জিনিস জানার কৌতূহল বেড়ে যাবে।
বাস্তব জীবনের প্রশ্ন
শিশুদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করতে পারে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ে এবং মনের উদ্ভাবনও বাড়ে। ব্যবহারিক প্রশ্নের মাধ্যমে শিশু জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ শিখতে পারে। এটি শিশুর সমস্যা ধরতে শুরু করবে, যার ফলে তাদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা গড়ে তুলবে।
অতিরিক্ত বোঝা চাপাবেন না
বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ পিতামাতাদেরও বুঝতে হবে। সব শিশুর বিকাশ এক হয় না, প্রতিটি শিশু তার নিজস্ব গতিতে বিকাশ লাভ করে। তাই তার উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানো উচিত নয়। তাকে কথা বলার সময় তাদের বলার সুযোগ দিন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।