বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানোর সংখ্যা বাড়ছে। হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। আমরা দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো পরিবর্তনের মাধ্যমে এর থেকে রক্ষা পেতে পারি। কারণ তাতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যেতে পারে (Heart Attack Risk Factors)। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার জন্য, এর ঝুঁকির কারণগুলি সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই জরুরি।
মানসিক চাপ (Mental Stress)
হার্ট অ্যাটাকের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে স্ট্রেসকে ধরা হয়। কোনও মানুষ যদি সবসময় টেনশনে থাকেন তাহলে তাঁর সাধারণ মানুষের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ দূর করার চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
স্থূলতা (Obesity)
স্থূলতার কারণে অনেক ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত, স্থূল ব্যক্তির শরীরে কোলেস্টেরল, রক্তচাপের সমস্যা থেকে যায় এবং তাতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ডাক্তাররা সবসময় পরামর্শ দেন যে ওজন কমানোর জন্য মানুষের প্রতিদিনের ব্যায়াম এবং ভাল ডায়েট মেনে চলা উচিত।
ধূমপান (Smoking)
ধূমপানকেও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ মানুষের চেয়ে চারগুণ বেশি। আসলে ধূমপানের কারণে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেন সম্পূর্ণ পরিমাণে পৌঁছায় না। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। য়ার ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরল (Cholesterol)
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে আমরা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারি। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্ট শক্তিশালী হয়। কোলেস্টেরল কমাতে খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে। ব্যায়ামের মাধ্যমেও এটা কমানো যায়।
ডায়াবেটিস (Diabetes)
ডায়াবেটিসও হার্টের ক্ষতি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। ভাল খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আরও পড়ুন – সহজ এই ৫ উপায়ে তুঙ্গে উঠবে বৃহস্পতি, দেবগুরুর আশীর্বাদে ১৬ বছর অর্থ নিয়ে ভাবতে হবে না