কোকুম। যাকে মালাবার তেঁতুলও বলা হয়ে থাকে দেখতে লাল রঙের আর খেতে টক-মিষ্টি। এই ফল যেমন রান্নায় ব্যবহার করা হয়, তেমনই একাধিক রোগ ব্যাধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নিন এর উপকারিতা
পুষ্টিবিদরা বলেন, কোকুমের মধ্যে একাধিক ঔষধি গুণ রয়েছে। গুজরাট, গোয়া, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা এই ফলের ভক্ত। মূলত তেঁতুলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কোকুম ভিটামিন A, ভিটামিন B3, ভিটামিন C এবং ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।
এতে ফলিক অ্যাসিড, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, অ্যাসিটিক অ্যাসিড, হাইড্রক্সি সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ফাইবারও ভালো পরিমাণে থাকে। পুষ্টিবিদ কিরণ কুকরেজার মতে এই ফল
, হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধ করতে এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন দেখে নিন এই ফল থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
কোকুমের রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। এটি রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ কমিয়ে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
এই ফল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক রয়েছে যা শরীরে মধ্যে বাসকারী ক্যানসারের কোষগুলির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে।
ওজন কমাতে সহায়ক
কোকুমে এইচসিএ (হাইড্রক্সি সিট্রিক অ্যাসিড) নামক একটি যৌগ রয়েছে। যা খিদে কমাতে কাজ করে। এর ফলে যারা ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করছেন তাঁদের জার্নি আরও সহজ করে তুলতে পারে। এর পাশাপাশি এই ফল ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে শরীরে অতিরিক্ত মেদ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
হজমশক্তি উন্নত করে
শুকনো কোকুম অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রশমিত করতে সাহায্য করে। বুকজ্বালা হজম শক্তি উন্নত করতেও এই ফল পরিচিত। প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কোকুমের ড্রাই ফলগুলি যুগ যুগ ধরে হজমে সহায়তা করতে এবং গ্যাস-অম্বল কমাতে ব্যবহার হয়ে আসছে।
লাঞ্চ বা ডিনারের পর শুষ্ক কোকুম রস করে খেলে অ্যাসিডিটি (বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স) প্রতিরোধ করে।
