পেনাল্টিতে নাকি অপ্রতিরোধ্য কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পটকিক থেকে টুর্নামেন্ট সেরা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে তিন-তিনবার পরাস্ত করেছিলেন। সেই মিথ এবার চূর্ণ হয়ে গেল লিগা ওয়ানের মন্তেপেঁয়ি ম্যাচে। জোড়া পেনাল্টি মিস যেমন করলেন এমবাপে। তেমন খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে হল সুপারস্টারকে।
এমবাপের কোনও অবদান ছাড়াই যদিও পিএসজি ৩-১ গোলে লিগা ওয়ানে উড়িয়ে দিল মন্তেপেঁয়িকে। ম্যাচের চার গোলই হল বিরতির পর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজিকে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়েন লুইজ। ৭২ মিনিটে মেসি ২-০ করেন দুরন্ত গোলে। নর্দিন ৮৯ মিনিটে ব্যবধান কমালেও সংযোজিত সময়ে পিএসজির হয়ে ৩-১ করে যান জাইরে এমেরি।
যাইহোক, পিএসজি শিবির আপাতত জয়ে ফেরায় স্বস্তিতে। পরপর পয়েন্ট নষ্ট করে একসময় চাপে পরে গিয়েছিল পেরিসিয়ানরা। এদিন তিন পয়েন্ট ঘরে তুলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের সঙ্গে ৫ পয়েন্টের ব্যবধান করে ফেলল পিএসজি।
প্রথমার্ধে পিএসজি কাঁপুনি দেখে যদিও মনে হচ্ছিল ফের একবার পয়েন্ট নষ্ট করতে চলেছে তারা। চোটের জন্য নেইমার খেলেননি। তবে এমবাপে-মেসি ছিলেন প্ৰথম একাদশে। ৭ মিনিটের মাথাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় পিএসজি। মাঝমাঠে ফ্রিকিক আদায় করে নিয়েছিলেন মেসি। মেসির ফ্রিকিকের সময় রামোসকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন হুলিয়েন।
সেই পেনাল্টি থেকে এমবাপের শট রুখে দেন মন্তেপেঁয়ি গোলরক্ষক বেঞ্জামিন লেকোমতে। তবে সেই শট সেভ করার সময় লেকোমতে নিজের লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় পেনাল্টি রি-টেক পায় পিএসজি। তবে দ্বিতীয়বারেও পেনাল্টি মিস করে বসেন এমবাপে। লেকোমতে এমবাপের দ্বিতীয় শটও বাঁচিয়ে দেন। রিবাউন্ড থেকে বল ফের আসে ফরাসি তারকার কাছে। তা সত্ত্বেও জালে জড়াতে পারেননি তিনি।
জোড়া পেনাল্টি মিসের পরে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাত্র ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন এমবাপে। বিরতির আগেই শেষমেশ মেসি গোলের খাতা খোলেন। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। ৫২ মিনিটে হাকিমির গোলার মত শট মন্তেপেঁয়ির জালে জড়িয়ে গেলে সেই শটও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয় গোল বাতিল হওয়ার ঠিক তিন মিনিট পরে পিএসজি গোলের খাতা খোলে রুইজের সুযোগসন্ধানী গোলে। ৭২ মিনিটে রুইজের পাস থেকেই মেসি ম্যাচে নিজের প্ৰথম গোল করে যান। ৮৯ মিনিটে নর্ডিন ২-১ করলেও সংযোজিত সময়ে জাইরে এমেরি সিনিয়র ক্লাব জার্সিতে নিজের প্ৰথম গোল করে যান।