গভীর রাতে মিষ্টির দোকানে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই কয়েক লাখ টাকার সম্পত্তি

West Bengal News : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire Incident) সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার ডেবরা (Debra) ব্লকের হরিহরপুর এলাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এই অগ্নিকাণ্ডে (Fire Incident) এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল গভীর রাতে হরিহরপুর এলাকায় অবস্থিত একটি মিষ্টির দোকানে (Sweet Shop) আগুন লাগে। সেই সময় ওই দোকানের ভিতর ছিলেন মিষ্টির দোকানের (Sweet Shop) দুই কর্মচারীও।

97547978

মিষ্টির দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় দোকানের ভেতর থাকা দুই কর্মচারী প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে বিফল হন তারা। এর ফলে ক্রমেই বাড়তে থাকে আগুন। এরপর তড়িঘড়ি এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় ডেবরা থানায় ও দমকল বিভাগে। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়

ডেবরা থানার

পুলিশ (Debra Police Station) ও দমকলের একটি ইঞ্জিন।

97476608

দমকলের একটি ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে

পুড়ে ছাই

হয়ে গিয়েছে দোকানে থাকা প্রচুর সামগ্রী ও বেশ কয়েক লাখ টাকা। এই বিষয়ে দোকানের মালিক লাল্টু সামন্ত জানান, “দোকানের ভিতরে থাকা ফ্রিজ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও ক্যাশবাক্সে থাকা প্রায় নগদ ৫ লাখ টাকা সহ বেশ কিছু সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।” এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। দোকান মালিক লাল্টু সামন্তর প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের এই দোকান বেশ পুরনো। কাজেই বিদ্যুৎ সংযোগের পুরো ব্যাপারটিও যথেষ্ট পুরনো। সমস্ত কিছু বদলে ফেলে নতুন ভাবে বিদ্যুৎ-এর সমস্ত নতুন সরঞ্জাম কেনা ও লাগানো, যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ ছিল। তাই এতদিন খোলনলচে বদলানোর কথা ভাবিনি।”

97551297

কিন্তু সেই খরচ বাঁচাতে গিয়ে যে সেই বিদ্যুৎ সংযোগের থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে তার গোটা দোকান ধূলিসাৎ হয়ে যাবে, তা কোনোদিন কল্পনাও করেননি দোকান মালিক লাল্টু সামন্ত। তাই এই মুহূর্তে আফসোসের শেষ নেই তার। দোকানের এক কর্মচারী এই বিষয়ে জানান, “গভীর রাতে আমরা দোকানের ভিতরেই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বেশ খানিকটা উত্তাপের আঁচ পাই, ও পোড়া পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। উঠেই দেখি আগুন লেগেছে। কিন্তু তখন সেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েনি, তাই নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আগুন আরও বেড়ে যায়। তখনই মালিককে ফোন করি।”

CategoriesUncategorized

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *