West Bengal News: ৩৬৫ দিনই কাটে অপরাধ-অভিযোগ শুনতে শুনতে। কিন্তু, বৃহস্পতিবার যেন সবকিছু একটু আলাদা। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠল থানা। সেখানেই বসল বিয়ের আসর। পাত্র-পাত্রী সিভিক পুলিশ। তাঁদের বিয়েও সম্পন্ন হল থানাতেই। দৃশ্যটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর থানার (Mathurapur Police Station)। সেখানেই দুই সিভিক পুলিশ কর্মী রানু জানা এবং স্বরূপ প্রামাণিকের চার হাত এক হয়েছে বৃহস্পতিবার। মথুরাপুর থানার তালপুকুরের বাসিন্দা স্বরূপ প্রামানিক। সম্প্রতি অসুখ কেড়ে নেয় তাঁর স্ত্রীকে। অন্যদিকে, পুলিশ কর্মী রানু জানা দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী একজন সিভিক পুলিশ ছিলেন। সম্প্রতি ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছেন তিনিও। স্বামীর জায়গাতেই সিভিক পুলিশ হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন রানু জানা। জানা গিয়েছে, রানু এবং স্বরূপ দু’জনেই মথুরাপুর থানাতেই কর্মরত। কাজ চলাকালীন প্রথমে বন্ধুত্ব হয় তাঁদের। একে অপরকে বোঝা, লড়াই করা মোটের উপর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে প্রেমে পড়া। এরপরেই দু’জনের সম্মতিতেই মথুরাপুর থানায় তাঁদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। মথুরাপুর থানার এস আই অনুপ মজুমদারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থানাতেই তাঁদের চার হাত এক হয়েছে।
97556775
থানার দুই পুলিশকর্মীর বিয়েতে এলাহি আয়োজন করেন মথুরাপুর থানার অন্যান্য কর্মীরা। আলোর রোশনাই সেজে ওঠে গোটা থানা। বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য করা হয় খাওয়া-দাওয়ার বিপুল আয়োজন। থানার মধ্যেই দুই পুলিশকর্মীর বিয়ের সাক্ষী থাকল মথুরাপুর থানা।
97558954
বিয়ের কনে বলেন, “আমি বাবা পেয়েছি, মা পেয়েছি, ভাই পেয়েছি আমি অত্যন্ত খুশি।” অন্যদিকে,সদ্য বিয়ের পিঁড়ি থেকে ওঠা পাত্রও খুশিতে গদগদ। তিনি বলেন, “বড়রা যাঁরা এই বিয়ের আয়োজন করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ। স্যারের জন্যই এটা সম্ভব হল। তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” থানার অন্যান্য কর্মীরাও অত্যন্ত খুশি। এই প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, “
স্বরূপ
এবং
একে অপরের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন। আমরা ওদের এক হওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাবতীয় অনুমতি নেওয়ার পর আমরা বিয়ের আয়োজন করেছি। গোটা থানা আলোতে সাজানো হয়। পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার সামান্য আয়োজন করা হয়। দু’জনেই জীবনের একটা কঠিন সময় কাটিয়ে এসেছে। দ্বিতীয় সুযোগ সকলেরই প্রাপ্য। ওদের আগামী জীবন সুখের হোক, এটাই চাই।” বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন রানুর মা। পরিবারের উপস্থিতিতে এই নতুন যাত্রা শুরুতে খুশি স্বরূপ এবং রানু।