‘পথের কাঁটা!’, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল মায়ের প্রেমিক

West Bengal Latest News প্রেমের মাঝে কাঁটা। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি বছর ১৭-এর মেয়ের। মাকে পেতে পথের কাঁটা মেয়েকে সরানোর অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মায়ের প্রেমিকের হাতে খুন মেয়ে, এ্মনই অভিযোগে উত্তাল হল নদিয়ার চাকদহ থানার দুবড়া জিপির খামার পাড়া এলাকায়।

মৃতের নাম লিপিকা মণ্ডল। সে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। মা সুন্দরী মণ্ডলের সঙ্গে থাকত সে। জানা গিয়েছে, লিপিকার বাবা অর্থাৎ সুন্দরী মণ্ডলের স্বামী অনেক আগেই আত্মহত্যা করে। পাড়াপড়শিদের দাবি, লিপিকার মায়ের চরিত্র নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই আত্মহত্যার করে লিপিকার বাবা বলে দাবি মৃত ছাত্রীর জেঠিমার।

97530957

স্থানীয় সূত্রে দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন সুন্দরী মণ্ডল। ছেলেটির নাম সুজিত বিশ্বাস। এলাকার ছেলের সঙ্গে মায়ের এই মেলামেশা একেবারেই পছন্দ ছিল না। নিত্য আপত্তি করত। মা সুন্দরী মণ্ডলের সঙ্গে এই নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া লিপিকার অশান্তি চলত। সুন্দরী ও সুজিতের ঘনিষ্ঠতার মাঝে লিপিকা বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় একদম পছন্দ করত না সুজিত। সেই ক্ষোভ থেকেই প্রতিহিংসা। তার জেরেই এমন মারাত্মক ঘটনা।

অভিযোগ, বুধবারে দুপুরে মায়ের সঙ্গে মাঠের কাজে যায় লিপিকা। সেই সময় আচমকা হামলা চালায় সুজিত। মায়ের সঙ্গে থাকা লিপিকার উপর দাঁ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমিক সুজিত বিশ্বাস। মাথায় ও হাতে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। দায়ের কোপে লিপিকার কব্জি খুলে যায়। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সুজিত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। চেঁচামেচিতে প প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। আহত লিপিকাকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। লিপিকা কাকা ও জেঠুর কাছে মানুষ। চাকদহ বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়ে। ঘটনাস্থলে চাকদহ থানার পুলিশ।

97534408

লিপিকার পরিবারের তরফ থেকে পুলিশে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পলাতক সুজিত বিশ্বাসের সন্ধান চলছে। অন্যদিকে, ঘটনার সময় লিপিকার সঙ্গে থাকা তাঁর মা সুন্দরী মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুজিতের পরিকল্পনায় তিনি কোনওভাবে যুক্ত আছেন কিনা তাও দেখছে তদন্তকারীরা।

CategoriesUncategorized

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *