সাত দিনে ৬৩৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে শাহরুখ খানের পাঠান ছবিটি। দেশ থেকেই ৩৯৫ কোটি টাকার (গ্রস) ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। বিদেশ থেকে ছবিটি কামিয়েছে ২৩৯ কোটি টাকা (গ্রস)। ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ ছবিটি মুক্তির দিনেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে পাঠান (Pathaan) ছবিটি ব্লকবাস্টার হিট হবে। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী কিন্তু মিলে গিয়েছে। ক্রমশ হাজার কোটির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে পাঠান। চার বছর পর সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছেন শাহরুখ (Shah Rukh Khan)। তাঁর অ্যাকশন প্যাকড অবতার দেখতে সিনেমা হলে ছুটছেন অনুরাগীরা। বাংলাদেশেও কিন্তু শাহরুখ খানের অগণিত ভক্ত রয়েছেন। তবে তাঁরা পাঠান দেখতে পারছেন না। কারণ, ওপার বাংলায় মুক্তি পায়নি এই ভারতীয় ছবি। তাতে কী? জানা গিয়েছে, এই ছবি দেখার জন্য ভারতে আসছেন বাংলাদেশিরা।
97519937
আসলে আইনি সমস্যার জেরেই ওপার বাংলায় মুক্তি পায়নি
পাঠান
। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পরিচালক অনন্য মামুন ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেছেন, “আইনি জটিলতার জেরেই পাঠান মুক্তি পাচ্ছে না এখানে। দু’টি আইনে আটকেছে এই সিনেমা। প্রথমত, কোনও উপমহাদেশীয় ছবি আমাদের দেশে মুক্তি পায় না। দ্বিতীয়ত, ঢাকা এবং ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সিনেমা নয় এটি। যদি সেটা হতো, তাহলে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকত।”
97512573
যদিও
শাহরুখ খানের
বাংলাদেশি ভক্তরা কোনও বাঁধা মানতে নারাজ। তাই তাঁরা ভিড় জমাচ্ছেন ভারতের সিনেমা হলে। অজন্তা সিনেমা হলের মালিক শতদীপ সাহার ত্রিপুরাতেও একটি হল রয়েছে। যার নাম রূপসী সিনেমা। তিনি একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানিয়েছেন যে এক বাংলাদেশি পরিবারের সদস্যরা পাঠান দেখার জন্য তাঁর আগরতলার সিনেমা হলে এসেছিলেন।
97531478
অন্যদিকে, পাকিস্তানেও মুক্তি পায়নি
পাঠান
। কারণ, চার বছর আগেই ভারতীয় ছবিকে নিষিদ্ধ করেছে ওই দেশ। কিন্তু, সেই দেশে বেআইনিভাবেই নাকি শাহরুখ খানের ছবির স্ক্রিনিং চলছে। ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাঠানের টিকিট! শাহরুখ এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবিটি দুর্দান্ত হয়েছে জানার পরেই নাকি ছবিটি দেখার ক্রেজ তৈরি হয় পাকিস্তানে। এরপর চোরাগোপ্তায় ওই ছবি দেখার পদ্ধতি খুঁজে বের করেন কিছুদিন। চড়া দামে টিকিট বিকোতে শুরু করে।
97501922
পাক সংবাদমাধ্যম ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ছবির টিকিট বিক্রির একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল ফেসবুকে। সেখানে লেখা হয়, করাচিতে ছবির স্ক্রিনিং চলছে। পাকিস্তানের বাসিন্দাদের ফেসবুক ফিডে ওই বিজ্ঞাপন ভেসে উঠেছিল। সেই দেশের শাহরুখ ভক্তরা তড়িঘড়ি টিকিট বুকিং শুরু করেন। ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে সেই দেশে।