স্ত্রী মাত্রই পুরুষের নয়নের মণি। তবে মাথায় রাখতে হবে, কিছু ভুল রয়েছে যা নিত্যদিন করে গেলে পুরুষ মানুষ আঘাত পান। সেই বদভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিজেদের সম্পর্ক বাঁচান। তবেই দাম্পত্য সুখের হবে।
বিয়ে একটা ম্যারাথন রেস। এখানে খারাপ দিন আসবে। আবার হই হই করেও সময় কাটানো যাবে। তবে এই দৌড় জিততে গেলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার। যেমন যেই জিনিসটা পছন্দ নয় তা সরাসরি বলতে হবে। প্রথমদিন থেকেই ভুলটাকে মেনে নিলে, একটা সময়ে তা মারাত্মক আকার নেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রতিটি মানুষ ধূসর হন। তাঁদের কিছু ভালো দিক থাকে, তেমন অন্ধকার জায়গাও রয়ে যায়। আমাদের এই দুটি জিনিস নিয়েই চলতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে
ভালোবাসলে
তাঁর শুধু ভালোটাই নেব, খারাপটা এড়িয়ে যাব, এমনটা হয় না। তবে এরপরও বলা যেতে পারে কিছু কিছু বদভ্যাস সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।
সাধারণত পুরুষরা নিজের স্ত্রীর বেশিরভাগ বিষয় মেনে নেন। তবে এমন কিছু কিছু জিনিস রয়েছেন যা তাঁরা একবারেই পছন্দ করেন না। এই কারণে দাম্পত্য অনেক ক্ষেত্রেই খারাপ হয়। আমাদের সেই অন্ধকূপের রাস্তাটা চিনে দূরে থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, এই বদভ্যাস বয়ে নিয়ে যেতে থাকলে সম্পর্কের ক্ষতি। এক সময় বিচ্ছেদের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সচেতন থাকাটা সবার আগে জরুরি। আসুন গোটা বিষয়টি জানা যাক।
চিৎকার করে কথা বলা
অনেক মহিলারই এই স্বভাব থাকে। তাঁরা চিৎকার করে কথা বলেন। দোষ মেনে নিতে চান না। বরং সব সমস্যার সমাধান হিসাবে চিৎকারের সাহায্য নেন। এমনকী বহু সময় তো ছোটখাট বিষয়েও তাঁরা গলা তুলে কথা বলেন। মনে রাখবেন
স্ত্রীর
এই অভ্যাস স্বামীর পছন্দ হয় না। বরং তাঁরা চান যত দ্রুত সম্ভব স্ত্রী যেন নিজেকে বদলে নেন। এবার থেকে এই পয়েন্টটা মাথায় ঢুকিয়ে নিন।
পরনিন্দা নৈব নৈব চ…
বহু মহিলাই এই কাজটা করে থাকেন। তবে মনে রাখবেন, এমন কূটকাচালি কিন্তু পুরুষের পছন্দ নয়। তাঁরা সহজ সরলভাবে জীবনকে দেখেন। এমনকী চেষ্টা করেন আশপাশের অন্যের ঝামেলা থেকে দূরে থাকার। তাই পরনিন্দা করা যাবে না একবারেই। বরং নিজেদের জীবনের দিকে মনোনিবেশ করুন। অন্যের দিকে তাকিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট নয়। এতে সমস্যা বাড়ে।
বাড়তি কথা বললেই খেলা ভঙ্গ
কিছু মানুষের বাড়তি বকা অভ্যাস। তাঁরা যে কোনও বিষয়ে প্রবেশ করে যান। এমনকী অহেতুক কথা বলতে থাকেন। যদিও এই কাজটি করা কিন্তু ঠিক নয়। স্ত্রীর মধ্যে এই অভ্যাস থাকলে স্বামীর সমস্যা হয়। এমনকী তাঁরা চান স্ত্রী যেন এই ভুল শুধরে নেন। কোনও কোনও পুরুষ মুখ ফুটে বলেন, কেউ বলেন না। এটাই হল মোদ্দা বিষয়।
বাপেরবাড়িই সব
মহিলাদের নিজের পরিবার রয়েছে। তাঁরা সেই নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। তবে বারবার স্বামীর সামনে তাঁদের নিয়ে বড়াই করার কোনও কারণ নেই। কারণ এই বিষয়টা পুরুষের মন সুস্থভাবে নেয় না। স্বামী ভাবতে শুরু করেন যে এভাবে তাঁর পরিবারকে ছোট করা হচ্ছে। তাই স্ত্রীর কাছে বাপেরবাড়ির অত্যধিক প্রশংসা শুনলেই পুরুষের মন খারাপ হয়।
নিজের ছাড়া কারও নয়
বিয়ের পর আপনারা এখন জুটি। স্ত্রী ও স্বামীর সমান সমান ভাগ। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে স্ত্রী নিজেরটা ছাড়া কারও বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনকী স্বামীর স্বার্থও তাঁর কাছে গৌন।এই ধরনের বদভ্যাস মহিলাদের অবশ্যই ছাড়তে হবে। তবেই স্বামীর মনের কাছে থাকা যাবে।
আর পুরুষের উদ্দেশে বলি, সমস্যা লুকিয়ে রাখবেন না। বরং কথা বলুন মুখ ফুঁটে। আপনি বলতে পারলেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নিজের প্রিয়বন্ধুর আজেবাজে কথা শুনে আপনার সঙ্গে ঝামেলা করছে বয়ফ্রেন্ড? এই উপায়েই সব ঠিক করুন
আরও পড়ুন:
এই ৫ ধরনের পুরুষকে চোখে হারান মহিলারা, মিশলেই প্রেমে পড়ে যান