স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নথি দিয়ে একশোর ওপর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, বিস্ফোরক দাবি CBI-এর

গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই (CBI)। তদন্তে ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। অভিযোগ, যেগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য পঞ্চায়েতে জমা পড়েছিল। করোনার সময় অ্যাকাউন্টগুলি ২ দিনে খোলা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লটারির মাধ্যমে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল কি না, মূলত তাই জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেইসমস্ত তথ্য ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্ট এবং গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত নথি শুক্রবার আদালতে জমা দেয় সিবিআই। 

এদিন, আদালত সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায়, কী কী তথ্য উঠে এসেছে? সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, বেনামি ও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের বিষয়ে ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ১২ জন টিপসই দিয়েছেন। এছাড়াও সিবিআইয়ের দাবি, ৪টি অ্য়াকাউন্ট থেকে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে টাকা গেছে। 

পাশাপাশি, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যাদের নামে খোলা হয়েছে তাদের গোপন জবানবন্দি নিতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন আদালতে হাজির ছিলেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তিনি জানান, সায়গল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য় ও সোনা-গয়নার হিসেব পেশ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের পাল্টা দাবি, বিকৃত নথি দেওয়া হয়েছে. যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃত নথির সঙ্গে মিলছে না। ১৭ই ফেব্রুয়রি এই মামলারও পরবর্তী শুনানি হবে।

ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দাবি করেছেন, তিনি শুধুমাত্র সই করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপে এই কাজ করেছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। সমবায় ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্ট থেকে যে টাকা ঘুরপথে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল, সেখানে জড়িয়ে রয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যের নামও। এই সেই রাজীব ভট্টাচার্য, যাঁর বিরুদ্ধে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

তদন্তকারীরা মনে করছেন, গরু পাচারের টাকাই ঘুরপথে বিভিন্ন খাতে খেটেছে। স্বাস্থ্যসাথীর মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করেই বাসিন্দাদের কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল। যা দিয়েই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন-তাপসের সঙ্গে বিজেপির যোগ! ‘আদালতে সব বলব,’ বিস্ফোরক কুন্তল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *