Cooch Behar News : সরকারি হাসপাতালে নেই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই পরিবারের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগীকে নিয়ে পরিবারকে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হল হাসপাতাল চত্বরে। অমানবিকতার ছবি ধরা পড়ল তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে (Tufanganj Sub Divisional Hospital)। পরে স্থানীয় এক তৃণমূল এক নেতার সাহায্যে রোগীদের স্থানান্তরিত করা হল। দুর্ঘটনায় জখম দুই রোগীর জন্য দুটি আলাদা অ্যাম্বুলেন্স নেওয়ার জন্য জোর করা হয়েছিল। দুটি গাড়ির ভাড়া গোনার সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিনিধি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কিছুটা স্বস্তি মিলল তাঁদের। শুক্রবার রাতে তুফানগঞ্জ -১ ব্লকের বলরামপুরে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন স্বামী ও স্ত্রী। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের দু’জনকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Cooch Behar Medical College And Hospital)। আহতরা হলেন শিবানী দাস ও প্রদীপ দাস।
97394150
একই অ্যাম্বুলেন্সে তুফানগঞ্জ হাসপাতাল থেকে
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে
(Cooch Behar Medical College & Hospital) দুই রোগীকে নিয়ে যেতে চাইলেও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দাবি ছিল দুটো অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance) লাগবে। আর দুটো অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বহন করা ক্ষমতা ছিল ওই পরিবারের। ফলত প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করে হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকেন পরিবারের সদস্যরা।
দুর্ঘটনায়
জখম রোগীদের পরিবারের সদস্য ফনী দাস বলেন, “আমরা বলেছিলাম একটা অ্যাম্বুলেন্স লাগবে। দুটো রোগী আছে বলে ওঁরা বলছে দুটো অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে হবে। দুটো গাড়ির জন্য ২ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছিল। অতো টাকা দিয়ে আমরা রোগীকে কীভাবে নিয়ে যাব ? এখানে রোগীরা আধ ঘণ্টা ধরে পড়ে আছে।”
97519039
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সাল থেকেই হাসপাতালে
পরিষেবা নেই। বেসরকারি কিছু সংস্থার অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বরে। রোগীদের কাছ থেকে নিজেদের মর্জি মতো ভাড়া চেয়ে থাকে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। তাঁদের দৌরাত্ম্যের ফল ভুগতে হয় রোগীর পরিবারের সদস্যদের। পরবর্তীতে স্থানীয় শাসক দলের ৭ নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি শাহানুর হকের মধ্যস্থতায় রোগীদের কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো সম্ভব হয়। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা শাহানুর হক বলেন, ” আমাকে এখান থেকে অভিযোগ জানানো হয়। এসে দেখি সত্যিই অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি এসে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে কথা বলি। একটা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়েই ওঁদেরকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তবে হাসপাতালে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়টি নিয়ে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওঁরা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবনে বলে জানিয়েছেন।