এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খেতে রোজ খেতে খেতে একঘেয়েমি চলে আসে। অথচ ওই খাবার পুষ্টিকর। ফলে রোজকার ডায়েটে থাকা চাইই-চাই। আর এই ধরনের খাবারের মধ্যে অন্যতম হল ডাল। আসলে এটা ভাত কিংবা রুটির সঙ্গেই খাওয়া হয়। ফলে রোজকার ডাল তৈরি করার ক্ষেত্রে যদি একটু ট্যুইস্ট আনা হয়, তা-হলে একঘেয়েমি তো আসবেই না। বরং ফিরবে জিভের স্বাদও। তাই আজ আলোচনা করব, কিছু সবজি এবং মশলার বিষয়ে, যা একঘেয়ে ডালকেও লোভনীয় বানিয়ে দিতে পারে।
ডালের সঙ্গে লাউ:
লাউয়ের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়। শরীর ঠান্ডা রাখে। ফলে লাউ দিয়ে ডাল রাঁধা হলে তা অত্যন্ত পুষ্টিকর হবে। এটা তৈরি করার জন্য মুগ ডালই আদর্শ। লাউ দিয়ে রাঁধা মুগ ডালের স্বাদও অপূর্ব।
তৈরির প্রক্রিয়া
এর জন্য মুগ ডাল পরিষ্কার করে নিতে হবে। লাউগুলি কেটে টুকরো করে ধুয়ে ডালের সঙ্গে দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এর পর একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিতে হবে। খানিক ক্ষণ সাঁতলে নিয়ে অল্প অল্প করে হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো নিয়ে ডালের মশলা তৈরি করে কড়াইয়ে ছেড়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো লবণ যোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সামনেই ভালবাসার সপ্তাহ, কোন দিনের কী বিশেষত্ব জানেন? কবে কোন দিন পড়েছে জেনে নিন
মশলাটা ভাল করে নাড়াচাড়া করার পরে সেদ্ধ করা মুগ ডাল এবং লাউ দিয়ে দিতে হবে। ডাল ফুটতে শুরু করলে সামান্য ঘি অথবা ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে এই ডাল একেবারে জমে যাবে।
ডালে বড় এলাচ:
বড় এলাচ বা কালো এলাচ যে কোনও খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর মজার বিষয় হল, এই সুগন্ধি মশলা ডালের তৈরির সময়ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কীভাবে যোগ করা যাবে বড় এলাচ
প্রথমে ডাল সেদ্ধ করতে হবে। আর ডাল সেদ্ধ করার সময়ই বড় এলাচ যোগ করা যেতে পারে। অথবা তেল অথবা ঘি গরম করে জিরের সঙ্গেও বড় এলাচ ফোড়ন দেওয়া যেতে পারে।
এর পর ফোড়নটার গন্ধ বেরোলে বড় কুচোনো পেঁয়াজ দিয়ে ভাজতে হবে। বাকি মশলা এবং টম্যাটো দিয়ে নাড়াচাড়া করে ডাল দিয়ে দিলেই প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ভারতে মারকাটারি জনপ্রিয় এই ৫ খাবার বিদেশে নিষিদ্ধ! তালিকা দেখলে চোখ কপালে উঠবে!
ডালের মধ্যে পালং শাক:
পালক ডাল এক দুর্দান্ত রেসিপি। আজকাল বহু রেস্তোরাঁতেও এই পদ রাখা হয়।
তৈরির প্রক্রিয়া-
প্রথমে ডাল সেদ্ধ করতে হবে। তার পর কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ, টম্যাটো ভেজে নিয়ে মশলা ও লবণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।
এর পর কুচিয়ে রাখা পালং শাক যোগ করে প্রায় ৩ থেকে ৪ মিনিট মতো রান্না করতে হবে।
এবার এর মধ্যে সেদ্ধ করা ডাল দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে দিতে হবে।
প্রয়োজন মতো জল যোগ করে ডালের ঘনত্ব ঠিক করে নিতে হবে। ফুটতে উঠলেই আঁচ নিভিয়ে দিতে হবে। পালক ডাল একেবারে প্রস্তুত।
ডালে শুকনো লঙ্কা
অনেক ধরনের ডালেই শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দেওয়া হয়। ডালের স্বাদ বাড়ানোর জন্যই মূলত এটা করা হয়। আসলে ডালে শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিলে এর স্বাদে আলাদা মাত্রা যোগ হয়।
তৈরির প্রক্রিয়া-
প্রথমে ডাল সেদ্ধ করতে হবে।
এর পর পেঁয়াজ আর টম্যাটো কুচিয়ে ভাজতে হবে। এবার তাতে মশলা যোগ করে নাড়াচাড়া করতে হবে। তাতে ডাল যোগ করতে হবে।
এর পর একটি প্যানে তেল গরম করতে হবে। তাতে আধ চা-চামচ দেগি লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ১টি শুকনো লঙ্কা এবং সরষের বীজ যোগ করতে হবে। এটা সাঁতলে নেওয়ার পরে ডালের উপর এই তড়কা ছড়িয়ে দিতে হবে।