তামার পাত্রে জল পানের উপকারিতা অনেক, কিন্তু এই ভুলগুলো করলেই সাড়ে সর্বনাশ!

জল খাবেন, তা নিয়ে এত কথা বলার কী আছে! খেলেই তো হল-এমন কথা অনেকেই বলেন। তবে মাথা ব্যথা আছে বৈকি! রোজ যে প্লাসটিকের বোতলে করে ঘট ঘট করে জল খাই তাতে ক্ষতির চেয়ে উপকার কিছু হয় না। অনেকে আবার তামার বোতলে জল পান করেন শরীর ঠান্ডা রাখতে।

সেই প্রাচীনযুগ থেকে তামার পাত্রে জলাপানের অভ্যাস শুরু হয়েছিল মাঝে অবশ্য তেমন কিছু মাতামাতি হয়নি। এখন আবার সেই পুরনো ধারণাকে নতুন মোড়কে তুলে ধরা হচ্ছে। আসছে নিত্যনতুন বোতল। অফিসের ডেস্কে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে কপার বটল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং

হজমশক্তি

শক্তিশালী হয়। এ ছাড়াও ওজন কমানো, বাতের ব্যথা, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে তামার পাত্রে

জল খাওয়া

উপকারী। কিন্তু এই সমস্ত সুবিধা তখনই পাওয়া যায় যখন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হবে।

পুষ্টিবিদ

কিরণ কুক্রেজার মতে, তামার পাত্রে রাখা জল তখনই শরীরের জন্য উপকারী যখন আপনি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করেন। তাই তামার পাত্রে জল পান করার সময় এই ৩ ভুল কখনই করবেন না। নইলে গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

ছবি সৌজন্য : Istock

সারা দিন তামার বোতল থেকে জল খাবেন না

পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, আপনি যদি সারা দিন তামার বোতল বা পাত্রে জল পান করেন তবে আপনার শরীরে তামার পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে লিভার এবং কিডনি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথাও হতে পারে।

তামার পাত্রে লেবু ও মধু মিশিয়ে জল খাওয়া

এটা একেবারেই সত্য যে সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মিশিয়ে জল পান করলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু তামার পাত্রে যদি আপনি এই জল পান করেন তাহলে তা বিষের মতো কাজ করবে। আসলে লেবুতে যে অ্যাসিডিক শক্তি রয়েছে তা কপারের সঙ্গে মিশে শরীরে অ্যাসিড তৈরি করে, যার ফলে পেটে ব্যথা,গ্যাস এবং বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

নিয়মিত তামার বাসন বা বোতল ধোয়া

তামার বাসন নিয়মিত ধোয়া উচিত নয়। প্রতিদিন মাজা-ঘষা করলে তামার উপকারী গুণ কমতে শুরু করে। তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। মাসে একবার নুন ও লেবু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

সাবধান! এই রোগীরা কিন্তু ভুলেও ব্রেকফাস্টে পাঁউরুটি খাবেন না, তাতে বাড়বে বিপদ

ডিসক্লেইমার:

এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *