বেহাল ২৫ লাখি রাস্তা! মেরামত না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি গ্রামবাসীদের

West Bengal Local news: রাস্তা হওয়ার এক বছরের মধ্যেই বেহাল দশা। প্রায় কুড়ি মিটার রাস্তা ধসে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ নিম্নমানের কাজ হওয়াতেই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তা সংস্কার না হলে ভোট দেবেন না তারা। এমনই এক ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) মানিকচক ব্লকের চৌকিমিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙালচক গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এক বছর আগেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, কীভাবে এত দ্রুত রাস্তার এই বেহাল অবস্থা হল তা ভেবেই অবাক স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

97558806

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,

মালদার

মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় ২৫ লাখ ৩৭ হাজার অর্থ ব্যয়ে মানিকচকের চৌকিমিরদাদপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঙালচক গ্রামে প্রায় ৭০০ মিটার কংক্রিট ঢালাইয়ের রাস্তার কাজ বছর খানেক আগেই শেষ হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তৈরি হওয়া রাস্তার ২০ থেকে ২৫ মিটার রাস্তা নেই গ্রামবাসীদের অভিযোগ নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে যেখানে ৬ ইঞ্চি ঢালাইয়ের কথা সেখানে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি ঢালাই করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই রাস্তা তৈরি করে না দেওয়া হলে তাঁরা ভোট বয়কটের রাস্তায় হাঁটবেন। স্থানীয় গ্রামবাসী বাসন্তী প্রামাণিক বলেন ‘এই জায়গার নাম বাঙালচক। এখানে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো রাস্তা আছে। ঢালাই হওয়ার এক বছরের মধ্যে রাস্তা ভেঙে গেল। ঢালাই ঠিক করে না হওয়ার কারণেই রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। নইলে রাস্তা কেন ভাঙবে? বর্ষাকালে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না, কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে যেতে পারে না। কাজ না হলে আমরা ভোট দেব না। আমাদের রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হোক।’

97398484

রাস্তা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল এই নিয়ে

তৃণমূলকে

নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের সর্বত্রই কেন্দ্রের প্রকল্প টাকা লুট হয়েছে তার এই একটা উদাহরণ বাঙালচক গ্রামে প্রকল্পের রাস্তার এই অবস্থা। সমস্ত জায়গাতেই কাটমানি দিতে হচ্ছে। যথচ্ছভাবে টাকা লুট হচ্ছে। তৃণমূল এটা ছাড়া আর কিছুই পারে না।’ এই নিয়ে মুখ খোলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘যে রাস্তাটা ভেঙে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেটা খোঁজখবর নিয়ে দেখব যদি কোন এজেন্সি রাস্তা তৈরীর ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি করে থাকে তাহলে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর বিরোধীরা আমাদের উন্নয়নের সব কিছুতেই বাধা দিচ্ছে এটাই তাদের কাজ।’

CategoriesUncategorized

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *