সকাল বিকেল আকাশপাতাল স্বপ্ন দেখে বয়ফ্রেন্ড, কিন্তু কাজেরবেলায় লবডঙ্কা! ৫ কৌশলেই তাঁকে সঠিক পথে আনুন

স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে সেই লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রেমিক কি দিবাস্বপ্নে দেখেন? এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন কী ভাবে? রইল টিপস।

এই ভাঙাচোরা মিথ্যে কথার পৃথিবীতে মানুষ বেঁচে আছে স্বপ্নে দেখে। চোখের পলক বুঁজলেই ভেসে ওঠে নানা রং। সেই রঙের দেশে ভাসতে চেয়েই একটু বেঁচে থাকা। নইলে এই ধূসর ময়দানে খেলতে নামার কোনও কারণ নেই। তবে মনে রাখবেন, স্বপ্ন দেখা ভালো, দিবাস্বপ্ন নয়।

আমাদের প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন দেখার অধিকার রয়েছে। এই কল্পনা আমাদের বাঁচাতে পারে। নতুন করে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। আর সেই দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেখবেন লক্ষ্য হঠাৎ করেই সামনে চলে এসেছে। তখন জীবন আনন্দে ভরে যায়।

তবে আপনার স্বপ্ন যদি বাস্তবের উপর দিয়ে যায়, তখন মুশকিল। কারণ মানুষ তখন অন্যভাবে ভাবতে শুরু করেন। এদিকে অনেক মানুষ তো সারাদিন নিজের মতো করে ডায়লগ দিতে থাকেন। এই করব, সেই করব। যেন তাঁরাই দুনিয়ার ভাগ্য বদলে দেবেন। যদিও বাস্তবে সেই কাজটি করার ব্যাপারে কোনও আগ্রহ দেখান না।

মনে রাখবেন, এই ধরনের মানুষ আপনার

বয়ফ্রেন্ড

হয়ে উঠলে মুশকিল। কারণ তিনি শুধু মুখেই বলে যাবেন। কাজের কাজ হবে না। তাই এনাদের দিবাস্বপ্নের দেশ থেকে বাস্তবের মাটিতে টেনে আনতে হবে।

১. বাস্তবেই বেঁচে থাকে মানুষ

স্বপ্ন দেখা যায়। তবে সেখানে বাঁচা যায় না। কিছু সময়ের জন্য থাকে ঘোর। তা আপনার মনের আরমের কারণ হতে পারে। তবে ঘুম ভাঙলেই আপনি বাস্তবে বেঁচে উঠবেন। আর যাঁরা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জীবনে তো সমস্যার শেষ নেই। এই বিষয়টি নিজের

বয়ফ্রেন্ডকে

বুঝিয়ে বলুন। তাঁকে জানান যে বাস্তবে মাটিতে এমন ডায়লগ দেওয়া সহজ হলেও করা কঠিন।

২. কাজেই প্রমাণ

শুধু মুখে বাতেলা দিতে অনেকেই পারে। খেলা চলার সময় বিরাট কোহলির স্ট্রেট ড্রাইভ নিয়েও অনেকে কথা বলে থাকেন। যদিও এই অভ্যাস ভালো নয়। কারণ মুখে মারিতং জগতের তুলনায়, কাজটা করে দেখাতে হবে। আর আপনি যে তাঁর এই কথায় গলে যাচ্ছেন না, সেটা বোঝাতে হবে। বরং কাজে করে দেখাতে বলুন।

৩. সমস্যার মূলে

অনেকেই মানসিকভাবে কল্পনার জগতে থাকেন। তাঁদের কাছে গোটা পৃথিবীর সব বিষয়ই কেমন যেন অদ্ভুত ধরনের। এবার আপনার বয়ফ্রেন্ড কি এই সমস্যার মধ্যেই পড়েছেন? এই উত্তরটা কিন্তু খুঁজতে হবে। তাঁর যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে, তবে দ্রুত সমাধান দরকার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ কল্পনা আর বাস্তবে তফাত বহু যোজনের।

৪. পথ দেখান

আপনি শুধু তাঁকে বাধা দিয়ে গেলেই চলবে না। বরং বদলে যাওয়ার রাস্তাটা আপনাকে দেখাতে হবে। তাঁকে পথ দেখান। কী ভবে এই দিবাস্বপ্নের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন, এর রূপরেখা তৈরি করতে হবে। তবেই তিনি বদলে যেতে পারবেন। তাই কেবল তাঁকে আটকে রাখলে চলবে না। সেই কার্যসিদ্ধির পথ দেখানো উচিত বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

৫. দিনের শেষে

মনে রাখবেন, দিনের শেষে এই মানুষটিকে আপনি ভালোবাসেন। তাঁর সঙ্গেই গোটা জীবন থাকতে চান। তাই যে করেই হোক এই অভ্যাসের বদল দরকার। তাঁকে দিবাস্বপ্নের সঙ্গে আপোস করতে বাধ্য করুন। প্রথমে তিনি কাজটা হয়তো সেভাবে করতে পারবেন না। তবে কিছুদিন অভ্যাস করলেই সম্ভব। তাই চিন্তার কারণ নেই। বরং প্রেমিকও বাস্তবের পথেই হাঁটবেন।

আরও পড়ুন:

স্ত্রীর কোন কোন অভ্যাসে রাগের পারদ চড়ে স্বামীর, জানেন কি?

আরও পড়ুন:

চাকরির ‘চাকর’ হয়ে কি প্রেমিক ভুলেছে আপনাকে? পরিস্থিতি সামলান এই ৫ টিপসে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *