ফের বিপাকে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সারদা কাণ্ডে তাঁর ফ্রিজ করা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। তাঁর সঙ্গে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের স্ত্রী নলিনি চিদাম্বরম CPI(M)-এর প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের। বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে ছয় কোটি টাকা। যদিও এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টা তাঁর জানা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়টা চলছে ED-র কাছে।
97421253
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩.৩০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ও ৩ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আর্থিক তছরুপ মামলায় তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার সারদার সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ, চিট ফাণ্ড সংস্থা সারদার থেকে পাওয়া অর্থ হচ্ছে এগুলো। এতদিন ধরে এই সম্পত্তিগুলো ফ্রিজ করা ছিল। এবার সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল।
কেন বাজেয়াপ্ত করা হল?
জানা গিয়েছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি নেই এই ব্যক্তিদের। সেই কারণেই তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এতদিন তাঁরা সেই সম্পত্তির হিসেব দিতে পারেননি। ফলে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল। এরআগে ED-র পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল রজত বিশ্বাস যিনি পরে সারদা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হন তাঁর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়।
97408973
দেবব্রত সরকারের বক্তব্য
এই সময় জিডিটালের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার জানা নেই এই ব্যাপারে। আমি দিল্লিতে ছিলাম, এই আমি জেনেছি। আমি কোনও নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবীও কোনও নোটিশ পাননি।” ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও অসমে সারদাকাণ্ড প্রতারণা সামনে আসে। কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে দেবব্রত সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরে গ্রেফতার করা হয়।
দেবব্রত সরকার মুখ খুললেও এই বিষয়ে তালিকায় থাকা বাকি দু’জন কোনও মন্তব্য করেননি। অর্থাৎ নলিনি চিদাম্বরম ও দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস কোনও মন্তব্য করেননি। দীর্ঘদিন পর সারদাকাণ্ডে ফের পদক্ষেপ করল ED।