DA নিয়ে লাগাতার কর্মবিরতির পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। শনিবার দুপুর ১টা থেকে রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশনে বসেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩৩টি সংগঠন যৌথভাবে বকেয়া DA-র দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল তারা। এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছি। যাঁরা অবসর নিয়েছেন তাঁদের কথা ভাবুন। আমরা তাঁদের কথা ভেবে এই লড়াইটা লড়ছি। তাঁদের জন্য সব করব। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতি করবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।” শনিবার ৩৩টি সংগঠনের একজন করে প্রতিনিধি ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন করবেন। কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা, স্পষ্ট করে দিয়েছে সংগঠনগুলি। আন্দোলনেই থেমে থাকতে নারাজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার রাজ্যপালকে তারা চিঠি লেখার উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে DA না দিয়ে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, এই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হবে চিঠিতে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাংসদদের চিঠি দিয়ে এই বিষয়টি যাতে সংসদে উত্থাপন করা হয় সেই আবেদনও করার পরিকল্পনা করেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ।
97581201
উল্লেখযোগ্যভাবে, প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় গিয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে। বকেয়া
DA
মেটাতে হবে রাজ্যকে, জানিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য, এমনটাই জানিয়েছিল আদালত। যদিও ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল সরকারের তরফে। পরে এই মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
97582810
এদিকে কোনওভাবেই এই লড়াই থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বরং বিক্ষোভের পথে হাঁটছে তারা। গত বছর
DA
মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এরপর বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং হৃষীকেশ রায়ে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, মে মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হতে পারে। রাজ্য সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা অবশ্য স্পষ্ট জানাচ্ছে,
নিয়ে রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু, কেন্দ্র রাজ্যের বকেয়া মেটাচ্ছে না।