উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলা। ধীরে ধীরে মাটির তলায় বসে যাচ্ছে হিমালয়ের কোলের আরও একটি জায়গা। এই জেলার নাই বস্তি গ্রামে একের পর এক বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় বাড়ছে আতঙ্ক। থাথরির মহকুমাশাসক আতহার আমিন জারগার জানিয়েছেন, “বাড়িতে ফাটল ধরার পরিমাণ প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রথম মাত্র ছ’টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। এখন সেটা বাড়তে বাড়তে ২১-এ পৌঁছে গিয়েছে। ১৯টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” এই অবস্থা চলতে থাকলে গোটা এই এলাকার অবস্থাও জোশীমঠের মতোই হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় Geological Survey of India-র (GSI) একটি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। শনিবারই তাঁদের এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দেওয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্র খবর মিলেছে।
97576168
জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জানিয়েছে,
কিশতওয়ার-বাটোতে জাতীয় সড়ক
থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নাই বস্তি গ্রামে বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে গ্রামের একটি মসজিদ এবং মেয়েদের একটি স্কুল বিল্ডিংকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ডেপুটি কমিশনার ও SP পদমর্যাদার দুই অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। বাড়ির ফাটল পরিদর্শন করেন তাঁরা। এর পরই ১৯টি পরিবারকে গ্রাম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে ওই এলাকার উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় SDO আতহার আমিন জারগার। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
97001213
এর আগে অবশ্য জোশীমঠের সঙ্গে
জম্মু-কাশ্মীরের
পরিস্থিতির তুলনা টানতে অস্বীকার করেন SDO জারগার। শুক্রবার তিনি বলেন, “জোশীমঠের পরিস্থিতির সঙ্গে নাই বস্তি গ্রামের তুলনা টানা ঠিক হবে না। কারণ তুলনা হলে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে দেখা হতে পারে। উপত্যকায় ভূমিধসের সমস্যা রয়েছে।” উল্লেখ্য, সিন্ধুর শাখা নদী চেনাবের উপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ভূতাত্বিকরা ইতিমধ্যেই ‘ডুবন্ত’ নাই বস্তি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও
(National Highway Authority) তরফেও ওই গ্রাম পরিদর্শন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন SDO।
96954576
প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও গ্রামবাসীদের মধ্যে কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে ৫০-র বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা যেতে পারে। এই অবস্থায় অনেকেই আগে ভাগে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গিয়েছে।