Pakistan Economic Crisis: ‘ডানহাতে কোরআন, বামহাতে অ্যাটম বোম নিয়ে টাকা চান’, অর্থ সংকট মেটাতে সরকারকে পরামর্শ পাক নেতার

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট (Pakistan Economic Crisis) দূর করতে কোরআন (Quran) ও পরমাণু বোমা (Atom Bomb) ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন এক ইসলামপন্থী নেতা। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (Tehreek-e-Labbaik Pakistan) দলের প্রধান সাদ রিজভির (Saad Rizvi) দাবি, পুরো বিশ্বের সামনে সাহায্যের জন্য ভিক্ষা করার পরিবর্তে, শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের উচিত পারমাণবিক বোমা নিয়ে দেশগুলিতে যাওয়া এবং অর্থ দাবি করা।

সুইডেন ও নেদারল্যান্ডে কোরআন পোড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে সাদ রিজভী বলেন, পাকিস্তান সরকার দুর্বল প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তাদের শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। রিজভি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তাঁর পুরো মন্ত্রিপরিষদ এবং সেনাপ্রধানকে অন্য দেশে পাঠাচ্নছে অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য, ভিক্ষা করার জন্য… আমি জিজ্ঞেস করি তাঁরা কেন এমন করছে? তারা বলেছে পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপদে পড়েছে… বরং আমি তাঁদের এক হাতে কোরআন আর অন্য হাতে অ্যাটম বোমার স্যুটকেস নিয়ে মন্ত্রিসভাকে সুইডেনে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। এবং বলি যে আমরা কোরআনের নিরাপত্তার জন্য এসেছি। এই পুরো মহাবিশ্ব যদি আপনার পায়ের নিচে না পড়ে, তবে আপনি আমার নাম পরিবর্তন করতে পারেন।’

আরও পড়ুন: Pakistan Economic Crisis: ‘আমরা পতনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে’, কেন একথা বলছে পাকিস্তানি তেল কোম্পানিগুলি?

আদতে রিজভি দাবি করেছেন যে অন্য দেশগুলির সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের আলোচনা করার দরকার নেই এবং পাকিস্তান হুমকির মাধ্যমে তাদের অর্থ দিতে বাধ্য করতে পারে।

রিজভির এই সমাবেশ লাহোরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছিলেন। রিজভির ভাষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে আগে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২১ সালে ইমরান খান সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

কী নিয়ে বিতর্ক

গত মাসে ন্যাটোতে যোগদান বিষয়ক একটি বিক্ষোভ শুরু হয় সুইডেনের স্টকহোমে, সেই বিক্ষোভে কোরআনের একটি কপি পোড়ানো হয়েছিল। ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদান এর আগে সুইডেনের স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে ছিলেন। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা (Pakistan Economic Crisis) ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। পাকিস্তান বহুবার আইএমএফের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে, তবে আইএমএফ ইতিমধ্যে পাকিস্তান সরকারকে ব্যয় কমাতে এবং সরকারি কোষাগার বাড়ানোর জন্য সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা করার জন্য বলেছে। আইএমএফ পাকিস্তানকে সাম্প্রতিক অতীতে দেওয়া সমস্ত নির্দেশকা মানতেও বলেছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। পাকিস্তান সম্প্রতি বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছে, যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.০৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই দিয়ে পাকিস্তান মাত্র কয়েক দিনের জন্য আমদানি করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *