ভূস্বর্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সুরক্ষা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন রাহুল গান্ধী। চিঠিতে ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ লিখেছেন, “কাশ্মীরি পণ্ডিতরা আমার কাছে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। সরকারি আধিকারিকরা তাঁদেরকে উপত্যকায় কাজে যেতে বাধ্য় করছেন। কিন্তু কাশ্মীরের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। সেখানে নিষ্ঠুর নানা ঘটনা ঘটছে।” সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগাগোড়ে হিন্দি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠিয়েছেন রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, গত মাসেই জম্মু-কাশ্মীরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি শেষ করে কংগ্রেস। উপত্যকায় এই পদযাত্রা চলাকালীন কাশ্মীরের বহু মানুষের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গান্ধী। ওই সময় রাহুল গান্ধীর উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করেছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই কর্মসূচি শেষ করেন তিনি।
97583438
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, চিঠিতে
ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ
আরও লিখেছেন, “পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উপত্যকা বাদে অন্যত্র প্রশাসনিক কাজে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ব্যবহার করুক সরকার।” ২০১০-এ ‘প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কর্মসংস্থান’ প্যাকেজ (Prime Minister’s Special Employment Package) ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই প্যাকেজের আওতায় বর্তমানে উপত্যকায় পাঁচ হাজারের বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত কাজ করছেন। এই প্যাকেজের দু’টি অংশ রয়েছে। প্রথমত, যুবক কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, উপত্যকায় তাঁদের থাকার বন্দোবস্তো করা।
97596970
২০১৯-এ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর
জম্মু-কাশ্মীরের
বিশেষ মর্যাদা তুলে দেয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ (ক) ধারা বাতিল করা হয়। এর পরই উপত্যকায় উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কমে যায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির হামলার ঘটনা। এই অবস্থায় সন্ত্রাসের পরিবেশ বজায় রাখতে টার্গেট কিলিং শুরু করে জঙ্গিরা। গত কয়েক মাসে বেছে বেছে হিন্দুদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা। এই হামলায় প্রাণ গিয়েছে শিশুদেরও। সীমান্ত পার এই সন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য পাকিস্তানের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এই আবহে খোদ প্রধানমন্ত্রীকেই চিঠি দিলেন রাহুল গান্ধী।
97577227
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র শেষদিনে শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন
। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের রাস্তায় হাঁটলে আমার উপর গ্রেনেড হামলা হতে পারে। কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ এই নিয়ে আমাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু, পদযাত্রা থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই ছিল না। তাতে যদি আমার সাদা টি-শার্ট রক্তে লাল হয়ে যায়, তো যাক। শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরিদের ভালোবাসাই পেয়েছি আমি।”