জোশীমঠের (Joshimath) পর এবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) ডোডা জেলা, ফের একবার হিমালয়ের কোলে গড়ে ওঠা একটি জায়গা বসে যাচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। অন্ততপক্ষে একবার ভূস্বর্গে ঘুরে আসতে চান অনেকেই। কিন্তু, প্রকৃতির রোষে পড়তে পারে ভূস্বর্গও? এবার এই নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনালেন Geomorphologist ড. সুজীব কর। থাথরির মহকুমাশাসক আতহার আমিন জারগার সংবাদ মাধ্যমের কাছে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনডোডা জেলায় নাই বস্তি গ্রামে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় ফাটল ধরা সম্পত্তির সংখ্যা বাড়ছে। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২১টি বাড়িতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে এই বিষয়টি মাথায় রেখে যাতে ওই বাড়ির সদস্যদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ১৯টি বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে।
97596970
সম্প্রতি অতীতে
জোশীমঠে
একের পর বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। একাধিক বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার
জম্মু-কাশ্মীরে
র গ্রামে এই ঘটনা দেখা যাওয়ায় রীতিমতো বেড়েছে আতঙ্ক। তবে কি ভূস্বর্গ বড়সড় বিপদে রয়েছে? এই প্রসঙ্গে ড. সুজীব কর বলেন, “অবশ্যই জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ বিপদে রয়েছে। পুরো না হলেও আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের একটি অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “মধ্য হিমালয় এবং উচ্চ হিমালয়ের মধ্যে যে চ্যুতি রেখা রয়েছে তা সক্রিয় হয়েছে। আর এর জন্যই সংকটে রয়েছে দেবভূমি। জম্মু-কাশ্মীরের হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড সংলগ্ন অঞ্চলটির উপর বিপদ অপেক্ষাকৃত বেশি।”
97576168
কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? এই প্রসঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ চলাকেই দুষেছেন তিনি।
র কথায়, “নির্মাণের জন্য যে ভাইব্রেশন তৈরি হয় তা ক্ষতি করেছে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় ফাটলের বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। সেখানে Geological Survey of India-র (GSI) একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তারা শনিবার গোটা এলাকাটি পরিদর্শন করেছে এবং এরপর একটি রিপোর্ট তারা জমা দেবে। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নাই বস্তির একটি মসজিদ এবং মেয়েদের স্কুলকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।