প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের (Pervez Musharraf) মৃ্ত্যুর দিনেই পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, রবিবার কোয়েটা পুলিশ লাইন এলাকাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় দু’জন সুরক্ষাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর উদ্ধারকার্যের দায়িত্বে থাকা জিসান আহমেদ বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এলাকাটি পুরো খালি করে দেওয়া হচ্ছে।” এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানে তৃতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। উল্লেখযোগ্যভাবে, PSL-এর জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকা কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থায় মোড়া ছিল। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল? নেপথ্যে কে রয়েছে? এই বিষয়গুলি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও পাক পুলিশের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
97618363
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের পেশোয়ার কেঁপে উঠেছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণে। একটি
মসজিদের
উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। আহত হন প্রায় ৯০ জন। ১৭ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, মসজিদে প্রার্থনা চলাকালীন এই বিস্ফোরণ ঘটে। প্রার্থনার জন্য একাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। এই বিস্ফোরণের ফলে মসজিদটির একাংশ ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে বহু মানুষ। গোটা ঘটনায় শুধু পেশোয়ার নয়, পাকিস্তানজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে পাকিস্তানে চলতি সপ্তাহে তৃতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। জানুয়ারি মাসেই কাবুলে বিদেশ মন্ত্রকের সামনে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। আর তাতেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পর কাবুলের একটি সামরিক বিমানবন্দরেও হামলার ঘটনা ঘটে, যেই বিস্ফোরণের দায়িত্ব নিয়েছিল IS। একের পর এক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।
96587752
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এরই মধ্যে হামলার ঘটনাগুলি অতিরিক্ত চাপ বাড়াচ্ছে পাক সরকারের উপরে। উল্লেখযোগ্যভাবে , রবিবারই কার্গিলযুদ্ধের ‘মাস্টারমাইন্ড’ তথা প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট মোশারফের মৃত্যু হয়েছে। গত ন’মাস ধরে তিনি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। রবিবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাক শাসক পদের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও উঠেছিল। তাঁকে পেশোয়ার আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।