গ্যাসের গুঁতোয় জীবন জেরবার? ৫ ডায়েট টিপসে মিলবে মুক্তি, জানুন পুষ্টিবিদের মত

what To Eat To Reduce Gas In Stomach: গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যায় জর্জরিত বাঙালি। প্রতি বাড়িতে এই রোগে আক্রান্ত পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন, কথায় কথায় অ্যান্টাসিড নয়। বরং কিছু খাবারেই মিলতে পারে সমস্যা থেকে মুক্তি।

পেটের সমস্যা এখন লেগেই রয়েছে। প্রচুর মানুষ এই অসুখে নিত্যদিন আক্রান্ত। তাই অ্যান্টাসিড বাড়িতে সবসময় মজুতই থাকে। তবে নিয়মিত গ্যাস হলে এই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কারণ সমস্যাকে গোড়া থেকে উপড়ে না ফেললে আগামীদিনে বড়সড় ঝামেলা বাঁধতে পারে।

বাঙালি পরিবারে পেটে গ্যাস নিয়ে সবসময়ই অভিযোগ রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ বলে থাকেন, বাঙালি জাতির তো জল খেলেও গ্যাস হয়। তাই বস্তা বস্তা ওষুধ তাঁরা খান। যদিও এতে লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই সচেতনতা সবার আগে জরুরি।

আসলে আমরা খাবার খাওয়ার পর তা যায় পাকস্থলীতে। সেখানে কিছুটা পাচন হয়ে অন্ত্রে পৌঁছয় খাবার। এখানেই কিছু ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে তৈরি হয় গ্যাস। মনে রাখবেন গ্যাস সকলেরই হয়। তবে তা বেশি হলেই মুশকিল।

এই প্রসঙ্গে কলকাতার পিজি হাসপাতালের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী বলেন,

গ্যাসের সমস্যা প্রতি বাড়িতে লেগে রয়েছে। তবে শুধু ওষুধ নয়, কিছু সহজ কাজ করলেই আপনি এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আসুন জানা যাক টিপস।

১. সকালে ঈষদুষ্ণ জল

আপনাকে সকালে উঠে সামান্য গরম জল পান করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই জল পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এমনকী পেটের ময়লা দূর করতেও পারে। তাই সকালে উঠে জল গরম করুন। তারপর তা সহ্য যোগ্য অবস্থায় এলে পান করতে পারেন। কিছুদিন এই নিয়ম মেনে চললেই দেখবেন সব সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেলা সম্ভব হয়েছে। তাই দুশ্চিন্তা দূর হটিয়ে সুস্থ থাকার পথ বেছে নিন।

রোজ সকালে ঈষদুষ্ণ জলপান শুরু করুন।

২. দই হল ধন্বন্তরি

গ্যাসের সমস্যা গোড়া থেকে মিটিয়ে ফেলতে আপনাকে খেতে হবে দই, অন্তত এমনটাই মত দিলেন কোয়েল পাল মল্লিক। তাঁর কথায়, দই শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষত, টক দই খেতে হবে। মিষ্টি দইতে ক্যালোরি থাকে অনেকটাই বেশি। তাই এই দই নয়। টক দই খেলে দেহে উপকারী ব্যাকেটেরিয়া ঢোকে যা শরীরেরে জন্য ভালো। এমনকী অন্ত্রের উপর কাজ করে।

তাই প্রতিদিন পাতে চাই টক দই।

৩. জলে চুমুক

গ্যাস হলে পেট আইঢাঁই করে। এই পরিস্থিতিতে কাজে মন লাগে না। তাই আপনাকে অবশ্যই এই সময়টায় এমন কিছু কাজ করতে হবে যার মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে। এই সময়ে আপনি একগ্লাস জল নিন। তারপর সেই জল চুমুক দিয়ে দিয়ে বারবারে পান করুন। এভাবে জলপান করা পেটের জন্য উপকারী। এমনকী গ্যাস কমে দ্রুত গতিতে। তাই এখন থেকে পেট ফেঁপে উঠলেই এই পদ্ধতি মেনে চলুন। আশা করছি ভালো থাকবেন।

৪. লেবু ছাড়া যে কোনও ফল

অনেকের

লেবুতে

সমস্যা থাকে। এই মানুষগুলির লেবু খেলেই অ্যাসিড হয়। তাই এই ফলটা বাদ থাক। কিন্তু বদলে যে কোনও ফল খেতে পারেন। ফলের মধ্যে রয়েছে অনেকটা ফাইবার। এই ফাইবার অন্ত্রের জন্য উপকারী। এছাড়া নানা খনিজ ও ভিটামিন তো পাবেনই। তাই পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখা থেকে গ্যাস দূর করার কাজে খেতে হবে ফল। মরশুমি তাজা ফল খাওয়া বেশি উপকারী।

৫. সবজি খান

আপনাকে সবজি খেতে হবে নিয়মিত। এক বাটি প্রতিদিন খাওয়া চাই। দিনের যে কোনও সময় খেতে পারেন। তবে বাঁধাকপি, ফুলকপি বেশি নয়। বরং অন্যান্য সবজি খান গ্যাস কমাতে চাইলে। কারণ সবজির ফাইবার পেটের জন্য ভালো।

এছাড়া খাওয়া যাবে না কোল্ড ড্রিংকস, চকোলেট, মদ ইত্যাদি। পাশাপাশি সময় পেলেই হাঁটুন। পেটের গ্যাস দূরে থাকবে।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুন:

লিভারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এড়িয়ে চলুন এই ৫ খাবার, পরামর্শ পুষ্টিবিদের

আরও পড়ুন:

‘রোগা’ বলে রাগায় সবাই? এই রেসিপিটা ট্রাই করে দেখুন, ফল পাবেন হাতেনাতে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *