Malda Teen Hanged herself: দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে গিরে উত্তাল মালদা। ওই ছাত্রীকে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলতে দেখা যায়। ঘটনা সামন আসতেই ছাত্রীর গৃহশিক্ষকের উপর রাগ গিয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতার। তার বাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রীর বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা। তাঁদের অভিযোগ গৃহশিক্ষকের প্ররোচনা ও মানসিক চাপেই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদার হবিবপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রসন্ন হয়েছেন শনি, ভাগ্য ফিরতে চলেছে এই ৩ রাশির
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মালদার কেন্দুপুকুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির শোওয়ার ঘর থেকে। গলায় ওড়না জড়িয়ে সিলিং থেকে ঝুলছিল ছাত্রী। ওই কিশোরীর আত্মঘাতী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষজন অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে ভিড় করেন। বাড়িতে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের বাবা-মা। যদিও প্রেমের প্রস্তাব ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করে সোমবার মালদা জেলা আদালতে পেশ করছে পুলিশ।
এর আগেও ওই ছাত্রীকে পড়াতে এসে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ও কল করে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। শিক্ষক আগে থেকেই বিবাহিত। ফলে তার প্রেমের প্রস্তাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী বলে পরিবারের দাবি। দিন কয়েক আগেই স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও করানো হয় বলে পরিবার সূত্রে খবর। কয়েকদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে ওই কিশোরী।
কিন্তু, তারপরও চাপ দেওয়া কমেনি বলে দাবি করা হচ্ছে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওড়নার ফাঁস গলায় দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী বলেই দাবি করা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।