হাতে আর একেবারে বেশি সময় নেই। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি। ইতিমধ্যেই ক্রিকেটাররা এই সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটা নাগপুরে আয়োজন করা হবে। গত শুক্রবারই নাগপুরের হোটেলে চেক ইন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতীয় ক্রিকেটার এবং দলের স্টাফেরা যখন হোটেলে ঢুকছিলেন, তখন তাঁদের কপালে রক্ত চন্দনের তিলক লাগিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় যে টিম ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকজন কপালে তিলক লাগাতে অস্বীকার করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ এবং উমরান মালিক।
97607717
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই উমরান এবং সিরাজের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। অনেকে তো আবার তাঁদের ‘কট্টর’ তকমা দিতেও শুরু করেছেন। কিছু সংখ্যক ইউজার আবার ব্যাপারটি হিন্দু-মুসলিম বিতর্কের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। এবার প্রশ্ন হল, এমন একটা বিতর্ক আদৌ কি ভারতীয় ক্রিকেট দলের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে?
ভাইরাল হচ্ছে ভিডিয়ো
ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন নাগপুরের টিম হোটেলে পা রাখে, তখন হোটেল স্টাফেরা তাঁদের স্বাগত জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা হোটেলে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই একজন মহিলা স্টাফ তাঁদের কপালে তিলক লাগিয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। দ্রাবিড় সহ বেশ কয়েকজন কপালে তিলক লাগালেও সিরাজ, উমরান, রাঠৌর সহ বেশ কয়েকজন লাগাবেন না বলে জানিয়ে দেন। কয়েকজন তো আবার চশমা খুলে এই তিলক গ্রহণ করেন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।
97622156
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, হিন্দু-মুসলিম বিতর্কে এই ব্যাপারটিকে জড়িয়ে ফেলা একেবারেই উচিত নয়। কারণ শুধুমাত্র মহম্মদ সিরাজ এবং উমরান মালিকই নন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্টাফেদের মধ্যেই অনেকে কপালে তিলক কাটতে চাননি। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, দলের স্টাফ হরি মোহনও তিলক কাটতে চাননি। ফলে ব্যাপারটাকে হিন্দু-মুসলিম আঙ্গিকে ফেলা একেবারে উচিত নয়। তবে এই ব্যাপার নিয়ে টিম ইন্ডিয়ারও অবশ্য কোনও মাথাব্যথা নেই। আপাতত চার ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ নিয়েই ব্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেট দল।