রাকেশ মাইতি, হাওড়া: ঐতিহ্যগতভাবে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ কিংবা বাঙালির গল্প আড্ডায় জুড়ে রয়েছে ‘ পান ‘। চুন, খয়ের, সুপারি, বিভিন্ন সুগন্ধি মশলায় জমে ওঠে পানের পাতা। আরও কত কী মিষ্টি ও সুগন্ধি মশলা ও স্বাদে তৈরি হয় এক খিলি পান। হাওড়া ডোমজুড়ে একটি পানের দোকানে বাহারি পান খেতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। পাওয়া যাচ্ছে কালো আঙুরের পান, চেরি পান, ফায়ার পান, মীনাক্ষী পান, মিষ্টি পান, আরও নানা স্বাদের পান।
ভারতের বিখ্যাত বেনারসি পানের জগৎজোড়া নাম। সুগন্ধি তৃপ্তির তালিকায় পান হল অন্যতম। সময়ের সঙ্গে বদলেছে পানের বাহার। পানের আবার দুটি ভাগ। ঝাল পাতা আর মিষ্টি পাতা বা মিঠা পাতা। চুন সুপারি খয়ের জর্দা সহযোগে ঝাল পান। নতুন প্রজন্ম পানে খুঁজে বেড়ায় নানা স্বাদ। তার সুবাদেই বেড়ে চলেছে বিভিন্ন স্বাদের পানের চাহিদা। বয়স্ক মানুষদের দেখা যেত, পান সেজে তাক দিয়ে রাখা ছোট্ট কৌটোতে। তা থেকে নিয়ে খেয়াল খুশি মতো টুপ করে গালে ভরে দেওয়া। ঠোঁট রাঙিয়ে পান খাওয়ার মজাটাই আলাদা। পান খেয়ে ঠোঁট রাঙানোর ইচ্ছা কম বেশি ছোট থেকে বড় সকলের।
আরও পড়ুন : বসন্ত আসতেই ভাতের পাতে মুচমুচে নিমবেগুন? উপকারিতার পাশাপাশি জানুন নিমের ক্ষতিকর দিকও
তবে যত যুগ বদলেছে পানের অবস্থান বদল হয়েছে। বাহারি পানে বিখ্যাত বেনারস। বাংলার মানুষও বেনারসের বাহারি পানে মেতেছে। শুধু সেখানেই থেমে নেই। বাহারি বেনারসের পানের সঙ্গে রয়েছে নানা স্বাদ। কালো আঙুর, চেরি ফায়ার চকোলেট ও বাহারি মিষ্টি পান খেতে মানুষের ভিড় জমছে হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি দোকানে। ভিড় জমাচ্ছেন পুরুষ, মহিলা থেকে কচিকাঁচা। পানের দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। দশ থেকে ত্রিশ টাকা। ছোট্ট দোকান ঘরের সামনে এমনভাবে পান পাতা ও পান সেজে রাখা হয়েছে। চোখ পড়লেই সহজেই মন আকৃষ্ট করবে। এমনভাবে পানের খিলির উপর কালো আঙুর, চেরি সাজানো, যে মনেই হবে চেখে দেখি!
আরও পড়ুন : মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি, মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বার নজিরবিহীন নিরাপত্তা
জানা যায়, আরও নানা স্বাদের পান অর্ডার করলেই সঙ্গে সঙ্গে তৈরি। গত কয়েক বছর ধরে এই বিভিন্ন স্বাদের পান বিক্রির বেশ চাহিদা বাড়ছে। জানান ব্যবসায়ী। ৬০ থেকে ৭০ বছরের পানের দোকান। তবে বাহারি এই ভিন্ন স্বাদের পান বিক্রি করছেন গত কয়েক বছর। চাহিদা ধীরে ধীরে বেশ বাড়ছে। সব মিলিয়ে প্রায় আঠারো থেকে কুড়ি রকম স্বাদের পান। আগামী দিনে এই তালিকা আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ী। তবে বর্তমানে যে সব স্বাদের পান পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে সব চাইতে চাহিদা বেশি চেরি, মীনাক্ষী ও ফায়ার পানের। বিক্রেতা চাঁদ দেবনাথ জানান, এই শীতের সময় বাহারি পানের চাহিদা হয় বেশি।