Assam News : অসমে বাজেয়াপ্ত করা হল কয়েক কোটি টাকার ‘তিমির বমি’ (Whale Vomit)। গুয়াহাটির ওদালবাকরা এলাকা থেকে এই তিমির বমি উদ্ধার করা হয়। ওই নিষিদ্ধ জিনিস বাজেয়াপ্ত করে গুয়াহাটির কাস্টমস ডিভিশনের Divisional Preventive Force। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১১.৫৬ কেজি ‘তিমির বমি’। রবিবার তা উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এই জিনিসের মূল্য প্রায় ২৬.৯১ কোটি টাকা। কী করে তা সেখানে এসেছে তা নিয়ে এখন খোঁজখবর নিচ্ছেন আধিকারিকরা।
97652024
আধিকারিকরা জানান, এই Ambergris কে ভাসমান সোনাও (Floating Gold) বলা হয়। এটি তিমির পরিপাকতন্ত্রে উত্পাদিত হয়। এর রং হয় ধূসর থেকে কালো। একটি অনেকটা কঠিন মোমের মতন। অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ এই তিমির বমি। এই জিনিস মূলত পাওয়া যায় মালদ্বীপ, চিন, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, মাদাগাস্কার, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের সমুদ্র তীরে। এই তিমির বমি ব্যবহার করা হয় সুগন্ধি বাজারে (Perfume Market)। কস্তুরীর মতন সুগন্ধ তৈরি করতে তা ব্যবহার করা হয়। এর থেকে Ambrein নামের একটি গন্ধবিহীন অ্যালকোহল তৈরি করাও হয়।
97556711
ভারতে এই তিমির বমির ব্যবহার, বিক্রি এবং নিজের সংগ্রহে রাখা বন্য প্রাণ রক্ষা আইন ১৯৭২ অনুসারে অবৈধ। অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশেও এই জিনিস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর নভেম্বর মাসেও তিমির বমি বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে পুনে থেকে গ্রেফতার হয় পাঁচ জনকে। তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ৫.২৮ কোটি টাকার তিমির বমি। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও
Uttar Pradesh
রাজ্যের পুলিশের STF লক্ষ্ণৌ থেকে বাজেয়াপ্ত করে প্রায় ১০ কোটি টাকার তিমির বমি। তার আগেও মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, কেরল সহ বিভিন্ন এলাকায় এই নিষিদ্ধ জিনিষ উদ্ধার করা হয়েছে।
97544648
আধিকারিকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে এই জিনিসের প্রচুর চাহিদা আছে। তাই অনেক সময় তিমির চোরাশিকার করেও তা সংগ্রহ করা হয়। তিমির শুক্রাণুতে তা তৈরি হয়। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় যেমন অভিযান চালিয়ে ‘
’ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তেমনই তা পুলিশ এবং আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়ার নিদর্শনও আছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেরলের Vizhinjam কাছে থেকে ‘তিমির বমি’ পেয়েছিলেন সেখানের মৎস্যজীবীরা। তারা সেটি তুলে দেন আধিকারিকদের হাতে। সেখানে প্রায় ২৮ কোটি টাকার ‘তিমির বমি’ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তারা।