Maharashtra Congress : অস্বস্তিতে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বালাসাহেব থোরাটের। প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা, দাবি থোরাটের। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস বনাম কংগ্রেসের লড়াইয়ের জেরে বিধানসভার পরিষদীয় দলের নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বালাসাহেব থোরাট (Balasaheb Thorat)। সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে-কে নিশানা করেছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে কাজ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি পরিষদীয় দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন থোরাট। পদত্যাগের চিঠি তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাঁর সঙ্গে আলোচনা করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন থোরাট। সেই সঙ্গে নানা পাটোলের বিরুদ্ধে তাঁর এবং পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সম্প্রতি এমএলসি নির্বাচনে (MLC Election) তাঁর এবং পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) যোগের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ্য করেছেন থোরাট।
97583438
যদিও,
কংগ্রেস সভাপতিকে
দেওয়া বালাসাহেব থোরাটের চিঠি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে (Nana Patole)। পদত্যাগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলে সাফাই দেন। চিঠি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, তাঁর সঙ্গে থোরাটের কোনো বিবাদ নেই বলেও দাবি করেছেন মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে থোরাটের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় গত এমএলসি নির্বাচনের সময় থেকে। কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বালাসাহেবের শ্যালক সুধীর তাম্বের ছেলে সত্যজিত তাম্বের নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াকে কেন্দ্র করে। নির্বাচনে পরাজিত হন কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থী। আর এই হারের পিছনে থোরাটের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রদেশ সভাপতির ঘনিষ্ঠরা। এ ব্যাপারে বিজেপির সঙ্গে থোরাট গোপনে রফা করেছিল বলেও পাটোলে অনুরাগীরা দাবি করেন।
97479745
নির্বাচনের ফল
ঘোষণার পরেই দলবিরোধী কাজের জন্য ইতিমধ্যে সুধীর ও তাঁর ছেলেকে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পাটোলে। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আহমেদনগর জেলা কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়। প্রদেশ সভাপতির এই সিদ্ধান্ত ভালো মনে মেনে নিতে পারেননি থোরাট। তারপরেই পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।
সামনে বিএমসি নির্বাচন। তার আগে দলের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব ভোটে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা কংগ্রেসের একাংশের। এতে বিরোধী দলগুলিই বাড়তি সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।