National News : দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকর কাণ্ডে আরো একটি হাড়হিম করা তথ্য প্রকাশ্যে এল। প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার হাড়গোড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঢুকিয়ে গুঁড়ো করেছিল অভিযুক্ত আফতাব। সেই সঙ্গে যন্ত্র এনে চেষ্টা হয়েছিল হাড় কাটারও। দিল্লির পুলিশের (Delhi Police) পেশ করা চার্জশিটে এমনই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ৬০০ পৃষ্টার চার্জশিটে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) আরো উল্লেখ করেছে যে খুনের পরেও প্রায় ৩ মাস শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু ঘরে রেখে দিয়েছিল আফতাব। খুনের পর জোমাটো থেকে চিকেন রোল এনেও খেয়েছিল অভিযুক্ত।
97655668
এখানেই শেষ নয়। চার্জশিটে বলা হয়েছে, গত বছর ১৮ মে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল আফতাব ও তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা। কিন্তু শেষ মুহুর্তে মুম্বই যাত্রা বাতিল করে দিয়েছিল অভিযুক্তই। এরপর মুম্বই যাওয়ার খরচ নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে বচসা বাধে আফতাবের। বচসার সময় আফতাবের একাধিক বান্ধবী থাকার প্রসঙ্গও উঠে আসে। দিল্লি থেকে দুবাই পর্যন্ত আফতাবে একাধিক বান্ধবী রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বচসার সময় অভিযুক্তের সঙ্গে শ্রদ্ধার হাতাহাতি হয় বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরেই রাগের বশে লিভ-ইন পার্টনারকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব পুনাওয়ালা।
97699642
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে খুনের পর প্রথম দেহটি একটি প্লাস্টিকে ব্যাগে পুরে লোপাটের চিন্তভাবনা করেছিল আফতাব। এজন্য একটি ব্যাগও কিনে আনে। কিন্তু এতে সন্দেহ হবে, এটা বুঝতে পেরে সেই পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসে অভিযুক্ত। এরপরেই মৃতদেহটি টুকরো করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এজন্য দোকান থেকে একটি হাতুরি ও তিনটি ছুরি কিনে এনেছিল। শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করার সময় একটি টর্চও ব্যবহার করা হয়েছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, দেহগুলিকে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয় আফতাব। তার বান্ধবীরা যখনই বাড়ি আসার কথা থাকত, তার আগে সে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে রান্নাঘরে রেখে দিত। তারা চলে গেলে, রান্নাঘর থেকে দেহের টুকরোগুলি ফের ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখত।
97515635
খুনের পর শ্রদ্ধার মোবাইলটি আফতাবের কাছেই ছিল বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ। প্রায় ১৮ বার ওই মোবাইল থেকে ফোনও করে। এখনো পর্যন্ত শ্রদ্ধার মাথাটি উদ্ধার করা যায়নি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা কাণ্ড গত বছর মে মাসে ঘটলেও, তা প্রকাশ্যে আসে প্রায় ছয় মাস পরে। ঘটনায় দেশজুড়ে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা।