তুরস্ক ও সিরিয়া (Turkey and Syria Earthquake) এই মুহূর্তে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) ধ্বংসস্তূপ। দুটি দেশ মিলিয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর আশঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যা ৩২ হাজারের বেশি হয়ে যাবে। এখন কারও যখন সর্বনাশ হয়, কিছু মানুষের পৌষমাসও চলে। যার নির্যাস, সিরিয়ায় ভূমিকম্পের বিপর্যয়, হাহাকারের মধ্যে জেল থেকে পালাল ২০ জনের বেশি খতরনাক IS জঙ্গি।
পশ্চিম সিরিয়ায় কম্পনের জেরে একটি জেলের দেওয়াল ধসে গিয়েছে। আর সেই সুযোগ নিয়েই পালিয়েছে ২০ জনের বেশি খতরনাক আইএস জঙ্গি। তুরস্ক সীমান্তবর্তী এলাকায় জেলগুলিতে ২ হাজারের বেশি কয়েদি রয়েছে। তারমধ্যে ১৩০০ আইএস জঙ্গি। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পের পরে ওই সব জেলগুলিতে কয়েদিরা বিদ্রোহ শুরু করেছে। অনেক জঙ্গি কিছু জেলের দখলও নিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: Earthquakes in Turkey-Syria: যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা, ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪ হাজার

সংবাদ সংস্থা AFP-র খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পের সুযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০ জন আইএস জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। একাধিক জেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভূমিকম্পে। ফলে চূড়ান্ত অব্যবস্থা দেখা দিয়েছে জেলগুলিতে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃত্যুমিছিল, পাশে থাকার বার্তা মোদীর

সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশে মৃত ১,১৩৬ জনের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে ৭১১ জন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই আলেপ্পো, হামা, লাতাকিয়া এবং তারতুস অঞ্চলে। পাশাপাশি সিরিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ার সরকার বিরোধী এলাকাগুলিতে ৭৪০ জন মারা গিয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোরে ৪টে নাগাদ কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এই প্রথম এত শক্তিশালী কম্পন হল।