১৪ বছরের এক নাবালিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ উঠল গুরুগ্রামের এক দম্পতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নাবালিকার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। দম্পতির সন্তানের দেখভালের জন্য ওই নাবালিকাকে একটি সংস্থা থেকে গুরুগ্রামে (Gurugram) নিয়ে এসেছিল ওই দম্পতি। কিশোরীকে অত্যাচারের খবর পায় একটি বেসরকারি সংস্থা। তারাই ঝাড়খণ্ডের নাবালিকার উপর নির্যাতনের একটি ছবি সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এরপরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গুরুগ্রামের নিউ কলোনি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে।
97703403
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দম্পতি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। গত পাঁচ মাস আগে রাঁচির বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে তাদের তিন বছরের কন্যাসন্তানের দেখভাল করতে নিয়ে আসে। ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগে নাবালিকাকে নিয়ে আসার পর থেকেই প্রতিদিন নির্দয়ভাবে মারধর করত ওই দম্পতি। আরও অভিযোগ, কিশোরীকে লাঠি দিয়ে মারা হত। লোহার শিক গরম করে গায়ে দেওয়া হত ছ্যাঁকা। উদ্ধারের সময় নাবালিকার হাতে-মুখে মারধরের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধু মারধর নয়। সেই সঙ্গে নাবালিকা খেতে দিত না অভিযুক্তরা। দেওয়া হতো না ঘুমতেও। খেতে না দেওয়ার জন্য ওই নাবালিকাকে অনেক সময় ডাস্টবিনে ফেলা উচ্ছিষ্ট খেতে বাধ্য করা হত বলে দাবি পুলিশের। এমনকি, বহু দিন না খাইয়েও রাখা হয়েছিল কিশোরীকে।
97723187
উদ্ধারের পর বর্তমানে রাঁচির ওই বাসিন্দা গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোনো রকম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কিনা, তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এদিকে, নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দম্পতিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (আঘাত) এবং ৩৪২ (আটকে রাখা) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং পকসো আইনে FIR নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে
গুরুগ্রামের
(Gurugram) নিউ কলোনি থানার পুলিশ (New Colony Police Station)। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো ঘটনাটি। খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে নিউ কলোনী থানার পুলিশ।
97515635
নাবালিকার উপর নির্যাতনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল যোগী রাজ্যে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়িতে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে।