Juan Pujol Garcia : মুরগির ব্যবসার আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তি! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের কীভাবে গোপনীয় তথ্য পাঠাতেন স্পেনের জুয়ান?

আমেরিকায় নজরদারি চালানোর জন্য চিনা গুপ্তচর বেলুন নিয়ে সারা বিশ্ব যখন তোলপাড়, তখন প্রকাশ্যে এল একটি ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মুরগি ব্যবসার ফাঁকে দিনের পর দিন জার্মানি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অন্যত্র পাচারের কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন স্পেনের জুয়ান পুজোল গ্রাসিয়াস (Juan Pujol Garcia)। আর তা করেছেন রক্তপাত ছাড়াই। ঘূর্ণাক্ষরে তা টের পায়নি কেউ-ই। স্পেনে জুয়ানের বাবার ছিল একটি তুলো কারখানা। ছোটবেলায় অন্য সাধারণ ছেলের মতোই ছিল সে। জীবনের কোনো লক্ষ্যই ছিল না তাঁর কাছে। এ নিয়ে বাবার সঙ্গে প্রায় মতবিরোধ হত জুয়ানের। বাবার মৃত্যুর পর স্পেনে তুলা ব্যবসা বন্ধ করে দেয় জুয়ান। শুরু করেন মুরগির ব্যবসা।

97571140

এই সময় স্পেনে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ৬ মাসের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। তখন বেজে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। সামরিক অভিযান শেষ করার পর গুপ্তচর বৃত্তি করার পরিকল্পনা নেন জুয়ান। তিনি বরাবরই জার্মান বিরোধী ছিলেন। নাৎসিদের থামাতেই ব্রিটিশরাই আদর্শ বলে মনে করতেন। যেই ভাবা, অমনি কাজ। সরাসরি পৌঁছে যান ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে। ব্রিটিশদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির প্রস্তাব দেয় সে। যদিও সেই সময় ব্রিটিশরা তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

97724756

এই ঘটনা দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁকে। জার্মানদের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির ভান করবেন বলে মনস্থির করেন। জার্মানদের হয়ে

গুপ্তচরবৃত্তি

করলে, সহজে নাৎসিদের গোপনীয় তথ্য তাঁর কাছে আসবে। সেক্ষেত্রে ব্রিটিশরা তাঁর সাহায্য নিতে পিছপা হবে না। এটা ভেবেই নিজের রণকৌশল তৈরি করে ফেলেন জুয়ান। জার্মানিতে গিয়ে কট্টক সমর্থক হিসেবে নাৎসিদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেন। সেই সময় ডবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জুয়ান। একদিকে নাৎসিদের পাশে থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেন, তেমনি সংগৃহীত তথ্য পাচার করতেন ব্রিটেনের হাতে। এই স্প্যানিশ যুবক বুদ্ধি দিয়ে নাৎসিদের ক্রমাগত ফাঁদে ফেলেছিলেন। সে যে এজেন্ট, ঘূর্ণাক্ষরে জানতে পারেনি কেউ।

97582068

শুধু জুয়ান গ্রাসিয়াস নন, ভারতের বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পাক সেনাবাহিনীর

ভিতরকার খবর পাঠাতেন ভারতে। পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গেয়ে অনেক ভারতীয়র হয় মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু ডোভাল গুপ্তচরবৃত্তি সেরে নির্বিঘ্নে ফিরে এসেছিলেন দেশে। বর্তমানে বেলুন কিংবা ড্রোনের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সশীরের উপস্থিত থেকেও যে গুপ্তচরবৃত্তি করা যায় তা জুয়ান এবং ডোভাল প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *