সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বুধবার বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আদান ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরেই অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এমত অবস্থায় সকলেরই নজর ছিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের উপর। যদিও হিন্দানবার্গ এবং আদানি গোষ্ঠীর দুর্নীতি নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি। উলটে কটাক্ষ করলেন বিরোধীদের। এদিন বক্তব্যের শুরু থেকেই হালকা মেজাজে ছিলেন তিনি। হাস্যরসের উদ্রেক ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদে অনেকেই নিজের নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। তাঁদের নিজের নিজের রুচি, সংস্কৃতি অনুযায়ী তাঁরা বক্তব্য রেখেছেন। সেগুলি বোঝার চেষ্টা করেছি। বক্তব্য শুনেই বুঝতে পেরেছি কার কত যোগ্যতা, কার কত বুদ্ধি আর কার কত ক্ষমতা। কিছু মানুষের ভাষণের পর গোটা ইকোসিস্টেম নড়ে গিয়েছিল। যারা তাঁদের বাহবা দিয়েছেন, তাঁদের হয়ত ভালো ঘুম হয়েছে। আজ হয়ত তাঁরা উঠতেই পারেননি। এটা বলে বলে আমি মনে মনে খুশি হচ্ছি যে তাঁদের দিন শেষ।”
97712398
মোদীর কটাক্ষ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন কারও নাম না করেই বলেন, “একজন বড় নেতা কাল রাষ্ট্রপতির অপমানও করে ফেলেছেন। আমাদের জনজাতির প্রতি তাঁর কী মনোভাবনা তাও বোঝা গিয়েছে। তাঁর অন্দরে থাকা ঘৃণার বিজ সামনে এসে গিয়েছে। পরে যদিও চিঠি লিখে বাঁচার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু, রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই।” এরপরই রাষ্ট্রপতির ভাষণের কিছু অংশ পড়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী। তারপর বলেন, “আমার আশঙ্কা ছিল, সরকারের উন্নতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের কথাগুলো শুনে আপত্তি শুরু হবে। কিন্তু, আমি খুশি কেই বিরোধীতা করেনি। সবাই স্বীকার করে নিয়েছেন। সংসদে হাসি মজা, টিপন্নি হতেই থাকে।”
97715189
মোদীর ভাষণ চলাকালীনই হই হট্টগোল শুরু হয় সংসদে। বারবার বিরোধীরা তাঁর কথার মাঝে হইচই শুরু করেন। ওঠে নীরব মোদী, গৌতম আদানির নাম। নানা স্লোগানিং চলে। যদিও নরেন্দ্র মোদী গত ১০ বছরে ভারতের উন্নয়ন ক্ষতিয়ান তুলে ধরেন। এরপর মজার ছলেই নানা কবিতা, গল্প শেয়ার করে বিরোধীরা হতাশাগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেন।