সালটা ছিল ২০১৩। সই বছরই আত্মঘাতী হন বলি অভিনেত্রী জিয়া খান। আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন গজনি খ্যাত এই অভিনেত্রী। ২০১২ সাল থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু, অচমকাই ২০১৩-এর ৩ জুন ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন জিয়া। অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান সুরজ ও পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন। ২০১৪ সাল থেকে জিয়া খানের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। ঘটনার পর প্রায় দশ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও জারি সেই রেশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সেশন কোর্টের তরফে সমন পাঠান হয়েছে আদিত্য পাঞ্চোলি সহ আরও চার জনকে। শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
76423955
জিয়া খানের
আত্মঘাতীর ঘটনাতেই আদালতের তরফে এই সমন পাঠান হয়েছে। জিয়া খানকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই সূরজ পাঞ্চাোলির বাবা আদিত্য পাঞ্চালিকে সেন কোর্ট সমন পাঠিয়েছে।
জিয়া খান
আত্মহত্যা মামলায় সমস্ত সাক্ষীকেই আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি বিশেষ সূত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাক্ষীদের আদালতে হাজির হতে হবে।
93835264
সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় সতর্ক করা হয়েছে। এই দিন যেন কেউ অনুপস্থিত না থাকে। জিয়া খানের মৃত্যুর ঘটনায়
বা তাঁর পরিবারের কারও হাত নেই বলে জানিয়েছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলি। যদিও তাঁদের সেই বক্তব্য মানতে নারাজ ছিলেন জিয়ার মা।
94697280
২০২০ সালে জিয়া খানের মা সলমান খানের বিরুদ্ধেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিয়ো পোস্টে রাবিয়া খানের বলেছিলেন, ‘২০১৫ সালে জিয়ার মৃত্যুর তদন্তে সহযোগিতা পেতে এক CBI অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন থেকে ভারতে গিয়েছিলাম।
ওই অফিসার আমায় বলেছিলেন, সলমান খান রোজ ফোন করে ওকে (সূরজ) হেনস্থা না করার আবেদন করতেন। সলমান ওদের (CBI)-কে বলেছিলেন ছেলেটার উপর অনেক বিনিয়োগ করেছি, ওকে দয়া করে জেরা করবেন না।’
২০১৩ সালে জিয়া খানের আত্মহত্যার ঘটনার পর সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন রাবিয়া খান। সেই সময় একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, সূরজের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন গর্ভবতী হয়ে পড়েন জিয়া।
গর্ভপাতের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতেন সূরজ। এমনকী প্রায়ই মারধর ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছিল আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজের বিরুদ্ধে। সেশন কোর্টের তরফে পাঠান সমনে ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।