এই সময়:
সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজে নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের টানাপড়েন তুঙ্গে পৌঁছল। সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে একাধিক বার পরীক্ষার দিন বদলে বাধ্য হয়েছে। তাতেও জটিলতা কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে কয়েক দিন ধরেই রাজ্য বার কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন অশোক দেব বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছেন। বুধবার রাত অবধি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, জটিলতা অব্যাহত। এ দিকে সংশোধিত সূচি মেনে কাল, শুক্রবার বিএ এলএলবি প্রথম সেমেস্টার পরীক্ষা শুরুর কথা। সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ১৮০টি আসন রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে (২০২২-এর ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) কলেজে ১৫০-র আশপাশে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর ডিসেম্বর অবধি ধাপে ধাপে অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন ও আসন্ন সেমেস্টার পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দিতে অস্বীকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
97580203
এ দিন কলেজের উপাধ্যক্ষ মহম্মদি তরান্নুম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ডিন যতীনকুমার দাসের সঙ্গে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নিয়ামকের ঘরে বৈঠকে বসেছিলেন। তখন সেখানে পড়ুয়াদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আর্জি নিয়ে উপস্থিত হন অশোক দেবও। তাঁর সঙ্গে বিকেল থেকে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অবশ্য কথা বলতে পারেনি ‘এই সময়’, ফোন বেজে গিয়েছে। অশোকের ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, বার কাউন্সিলের বিধি অনুযায়ী
কলেজের
মোট আসনের অতিরিক্ত ১০ শতাংশে আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েরা ভর্তি হতেই পারেন। যদিও অভিযোগ, সুরেন্দ্রনাথ ল কলেজে নির্ধারিত সময়ের পর ৫০-র বেশি পড়ুয়াকে ভর্তি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্বীকৃতি দিতে নারাজ।
97620694
ফলে বিপাকে পড়েছে কলেজ।
বক্তব্য খুব পরিষ্কার, ২৮ সেপ্টেম্বর ভর্তির পোর্টাল বন্ধ হয়েছিল। টাকা জমা দেওয়ার স্লিপ খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, সেগুলি নির্ধারিত সময়ের অনেক পড়ের। আইনের ডিন বলেন, ‘বকেয়া ভর্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ কলেজের উপাধ্যক্ষের দাবি, নিয়ম মেনেই ভর্তি হয়েছে। অতিরিক্ত ভর্তি হয়নি। বৃহস্পতিবার আবার বৈঠক আছে। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসের মন্তব্য, ‘নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করা হবে না।’