কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও চালু করা গেল না কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত মেট্রো রুট। কলকাতা মেট্রোর এই কমলা লাইন চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পরিদর্শন করেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে মেলে চূড়ান্ত ছাড়পত্র। কলকাতা মেট্রোর তরফেও জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই মেট্রো ছুটবে এই রুটে। কিন্তু মার্চ মাসের প্রথম অর্ধ পেরিয়ে গেলেও চালু হল না মেট্রো।
সূত্রের খবর, শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাওয়ার পর কিছু জরুরি কাজে হাত দেওয়া হয়। বিশেষ করে, কবি সুভাষ স্টেশনে দুটি আলাদা মেট্রো রুট এসে মেশায় সেখানে সমস্যাহীন ভাবে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা জরুরি ছিল। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেও মেট্রো চালু না হওয়ার মূল কারণ জানা যাচ্ছে, রেলবোর্ডের তরফে দিন না মেলা। কমলা লাইন উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী অথবা রেলমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে তাদের সময় পাওয়া জরুরি। এখনও অব্দি সেই দিনক্ষণ মেলে নি। ফলে তৈরি হয়েও চালু করা যাচ্ছে না নতুন রুটের মেট্রো।নিউ গড়িয়া–রুবি মেট্রো জুড়ে যাবে কবি সুভাষ স্টেশনের মাধ্যমে। এই দুটি হল মেট্রোর আলাদা শাখা। যার মধ্যে একটি হল ব্লু লাইন এবং অন্যটি হল অরেঞ্জ লাইন। এই দুটি লাইনে যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা আনতে চলেছে মেট্রো। এবার একই টোকেনে এক লাইন থেকে অপর এক লাইনে যাত্রা করতে পারবেন যাত্রীরা। এমনটাই জানিয়ে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এরফলে যাত্রীদের সময় এবং ভাড়া দুই বাঁচবে।ইতিমধ্যেই এরজন্য নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ স্টেশনে যাত্রীদের পৃথকভাবে যাতায়াতের সাবওয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য মেট্রোর স্মার্ট গেটের সফটওয়্যারে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। CRIS স্মার্ট গেটে সেই কাজ করে ফেলেছে। নিউ গড়িয়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের মোট যাত্রাপথ ৩১ কিমি। অন্যদিকে, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি ক্রসিং পর্যন্ত মেট্রোর লাইনের দৈর্ঘ্য ৫.৪ কিমি। এই দুটি লাইন যুক্ত হলে মোট যাত্রাপথ হবে ৩৭ কিমি।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, “আমরা প্রস্তুত। রেলওয়ে বোর্ডকে আমরা এই ব্যাপারে জানিয়েছি। উদ্বোধন করার চূড়ান্ত সূচি আমাদের শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে আশা করছি।”