সাতসকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে! টালিগঞ্জে আগুন, পুড়ে ছাই স্টুডিওর একটি অংশ

কলকাতা: রবিবার সাতসকালে স্টুডিওপাড়ায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! কয়েকমাস আগেই ভোর রাতে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল টালিগঞ্জে এসকে মুভিজের গোডাউনে। রবিবার আগুন লাগল টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওর পিছন অংশের গোডাউনে। দমকল সূত্রের খবর , রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ গোডাউন সংলগ্ন ক্যান্টিনে আগুন লাগে । আগুনের জেরে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে স্টুডিওর পেছনের সেই অংশটি।

ভোরবেলা আগুন লাগার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। ৫টা ৪৫ নাগাদ শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক ধারণা, ক্যান্টিনের পাশে শর্ট সার্কিটের জেরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্টুডিওর ভিতরে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন এমন বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছিল। দমকল সূত্রের খবর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল স্টুডিওতে। তবে ভোররাতে তা চালানোর মতো পর্যাপ্ত লোক না থাকার কারণেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগুন লাগার পর এমন অবস্থা হয় যে, তা বাইরে আশেপাশের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়তে পারত। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই তৎপর হয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তাঁরাই দমকল এবং স্থানীয় থানায় খবর দিয়েছেন। স্টুডিওটির গোডাউন একেবারে পাঁচিল লাগোয়া হওয়ায় দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় আশেপাশের বাড়িগুলিতে। আতঙ্কে বয়স্কদের ঘর থেকে বার করে নিয়ে অন্যত্র নিয়ে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: বিরোধীদের ‘হাতিয়ার’ এজেন্সি, অভিযোগ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির

আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ফের বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান ট্র‍্যাফিক পুলিশের, আটক বহু ! 

আশেপাশের বাড়িগুলির জলের ট্যাঙ্ক থেকে পাইপলাইন, এসি থেকে ইলেকট্রিক লাইন, সব কিছু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্থানীয়  কাউন্সিলরের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এর আগে অনেকবার গোডাউনের ম্যানেজারকে গোটা বিষয়টি জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। বাড়ির পাঁচিল লাগোয়া গোডাউন তৈরি করে তাতে দাহ্য পদার্থ মজুত করা হত বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

দমকল সূত্রের খবর, তিনটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে আগুন। বর্তমানে ডাম্পিং প্রসেসের মাধ্যমে কোথাও পকেট ফায়ার রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন দমকল আধিকারিকরা।

CategoriesUncategorized

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *