Meat Eating Risk: এই ধরনের মাংস হার্টের জন্য খুবই বিপজ্জনক, আজই সাবধান হোন

যে কোনও খাবার স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাজা খাবার শরীরের জন্য ভাল। প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাত মাংস (Processed Meat) সবচেয়ে ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। আপনার পছন্দের তালিকায় প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকলেও, জানুন কতটা বিপদ ডেকে আনছেন।  

প্রক্রিয়াজাত মাংস (Mangso) খেতে সুস্বাদু এবং এটি তৈরি করতেও খুব কম সময় লাগে। একারণে অনেকেই তাজা মাংসের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে পছন্দ করেন। প্রক্রিয়াজাত মাংসের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হৃদরোগ এবং অকাল মৃত্যু। এই মাংসের ক্ষতি সম্পর্কে গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে সতর্ক করে আসছেন। একটি গবেষণায়, প্রক্রিয়াজাত মাংস কীভাবে মানুষের ক্ষতি করছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এই গবেষণাটি ২১ দেশের ১,৩৪,০০০ মানুষের উপর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইঁদুরের উৎপাতে জেরবার? জানুন না মেরে সহজে তাড়ানোর ঘরোয়া টোটকা

গবেষণায় কিছু লোক শুধুমাত্র তাজা মাংস খেয়েছিল, অন্যদিকে কিছু মানুষ প্রক্রিয়াজাত মাংস খায়। প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং হার্টের স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক জানতে গবেষকরা দীর্ঘ সময় ধরে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে। যারা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাননি, তাদের তুলনায় যারা বেশি প্রক্রিয়াজাত মাংস খেয়েছেন, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে পরিমিত পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে শরীরের তেমন ক্ষতি হয় না।

আরও পড়ুন: রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কী খাবেন, কী খাবেন না? চাঙ্গা থাকতে জানুন…

পাকিস্তানের আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রোমেনা ইকবাল, যিনি গবেষক দলের অংশ ছিলেন, তিনি বলেন, ‘মাংস খাওয়া এবং হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়। তাই আমরা প্রক্রিয়াবিহীন রেড মিট, চিকেন এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের সঙ্গে হৃদরোগ এবং মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালভাবে বুঝতে চেয়েছিলাম। অন্য এক গবেষক মাহশিদ দেহগান বলেন, “উপলব্ধ তথ্য থেকে জানা যায় যে, স্বাস্থ্যকর খাবারে সুষম পরিমাণে অপ্রক্রিয়াজাত মাংস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না।”

আরও পড়ুন: প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন এই ড্রিঙ্ক, তরতরিয়ে কমবে ওজন

এই বহুজাতিক গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছিল প্রসপেক্টিভ আরবান রুরাল এপিডেমিওলজি (PURE)। প্রক্রিয়াজাত মাংসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে এই গবেষণা করা হয়েছে। হৃদরোগ এড়াতে মানুষকে তাজা মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *