আচমকা হাত ফসকে রেললাইনে শিশু! স্টেশনে ছটফট করছে মা! ….তারপর?

ভাইরাল ভিডিও: রেলওয়ে স্টেশনে মায়ের হাত ধরে হাঁটছিল ছোট্ট ছেলেটি। কিন্তু মা দৃষ্টিহীন। হঠাৎই ছেলেকে নিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে রেলওয়ে ট্র্যাকের দিকে এগোতে থাকেন তিনি। হাত ফসকে আচমকা নিচে পরে যায় ছেলেটা। আচমকা হাত ছেড়ে ছেলে পরে যেতেই আত্ম চিৎকার করতে শুরু করেন অন্ধ মা। ছেলে যখনই নিচে পড়ে যায়,তখন তিনি বুঝতে পারেন, তিনিই আসলে ভুল পথে হাঁটছিলেন। স্টেশনে ছটফট করতে থাকেন অসহায় মা।

এদিকে ভয়ঙ্কর গতি নিয়ে উল্টোদিক থেকে মাত্র খানিক দূরেই ছুটে আসছে ট্রেন। হর্ন বাজাতে বাজাতে স্টেশনের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসতে থাকে ট্রেনটি। শিশুটি স্টেশনে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে ঘাতক ট্রেনটি।

আরও পড়ুন: ‘বিয়ে কবে করছে ছেলে…?’ আপনি কি সামলাতে হিমশিম এই ‘কাকিমাদের’? রইল দুর্ধর্ষ Desi টোটকা

এরইমধ্যে দেবদূতের মতোই কোত্থেকে যেন ছুট্টে আসেন পয়েন্টসম্যান ময়ূর। দূর থেকে দৌড়তে-দৌড়তে গিয়ে বাচ্চাটিকে একরকম জাপ্টে ধরে স্টেশনে তোলেন। কয়েক মুহূর্তের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় ছেলেটি। নাটকীয় এই ঘটনার বিবরণ-সহ একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইটার পোস্ট-এ শেয়ার করেছেন ভি ভি এস লক্ষ্মণ। যা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।

রেলওয়ে দফতর পয়েন্টসম্যান ময়ূরকে নগদ টাকা দিয়েছে তাঁর সাহসিকতার জন্য। সংবাদমাধ্যমে ময়ূর জানান, ’আমি বুঝতে পেরেছি ওই বাচ্চাটি দরিদ্র পরিবারের। তাকে যথাযথ শিক্ষা দিয়ে শিক্ষিত করার আর্থিক ক্ষমতা তার মায়ের নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি,যে পরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছি, তার অর্ধেক টাকা বাচ্চাটির পড়াশোনার জন্য দিয়ে দেব’।

আরও পড়ুন: ‘লাল’ কাপড়ই কেন জড়ানো থাকে বিরিয়ানি, চাট আর লস্যির হাঁড়িতে? ৯৯% মানুষই জানে না আসল কারণ! শুনলে চমকে যাবেন!

প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটার লক্ষ্মণের দৌলতে অনেকেই আবার নতুন করে চিনলেন ময়ূর শেরকে নামের ওই আপাত ছাপোষা সাধারণ রেল কর্মচারীটিকে যিনি তাঁর অদ্ভুত সাহসিকতার জন্য আজ সবার কাছে হিরো হয়ে উঠেছেন গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিভিএস লক্ষ্মণ এই ভিডিয়োটি ট্যুইটারে পোস্ট করে লিখছেন,’ময়ূর শেরকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন দৃষ্টিহীন মায়ের ৬ বছরের শিশুর জীবন বাঁচিয়ে দৃষ্টান্ত গড়েছেন তিনি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কেউ ‘আজকের হিরো’ বলেছেন। কেউ কেউ ‘দেবদূত’ আখ্যাও দিয়েছেন এই রেলকর্মীকে যাঁর সাহসিকতার কাহিনী আজ মুখে মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *