কলকাতা: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চে এল ‘বিজেপি ওয়াশিং মেশিন’। যেখানে কালো কাপড় দিলে নাকি নিমেষে সেটা সাদা হয়ে যাচ্ছে। এমনকী নিজের হাতে কালো কাপড় সাদা করলেন মমতা ।সেখানে নিজে হাতে প্রতীকী ওয়াশিং মেশিনে কালো কাপড় দেন তিনি। তারপর প্রতীকী ওয়াশিং মেশিনের ভিতর থেকে বার করে আনেন সাদা কাপড়। দুর্নীতিগ্রস্তরা বিজেপিতে কলঙ্কমুক্ত হয়ে যাচ্ছেন- এটা বোঝাতেই ওই প্রতীকী ওয়াশিং মেশিন।
পাশাপাশি সিপিএমকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, ‘যত যা কাগজ বের হচ্ছে সব কো-অর্ডিনেশন কমিটির। গণশক্তিতে যাঁরা চাকরি করেন, তাদের স্ত্রীরা চাকরি পেয়েছেন শিক্ষকতায়। একবার খাতা খুলব? পেনশনটা নিয়ে নাড়াচাড়া করব? চাকরি আমি খাব না, চাকরি আমি দেব।’
কেন্দ্রকে তোপ দেগে তাঁর মন্তব্য, ‘আমি দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। আমি ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিয়ে এসেছি। আর আমাকে নতুন করে সংবিধান শেখাবেন? কথায় কথায় ডবল ইঞ্জিন সরকার বল, এখন আমি তো দুই দায়িত্বে। আমি এক বার নয়, আমি হাজার বার ধর্ণায় বসব। কী করতে পার দেখব।’
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যের দাবি আদায়ে টানা তিরিশ ঘণ্টা ধরনায় বসবেন তিনি৷ ফলে ধরেই নেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই এই ধরনায় অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও এ দিন রেড রোডে ধরনা মঞ্চে পৌঁছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, তিনি ধরনায় বসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়৷
তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসছেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সেই অবস্থান স্পষ্ট করলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে৷ ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযানের প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে কী করে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসলেন, সেই প্রশ্ন তুলে পাল্টা প্রচারে নেমেছিল বিজেপি৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্ভবত সেই বিতর্কের পুনরাবৃ্ত্তি এড়াতেই এবার আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসলেন না মুখ্যমন্ত্রী৷