Tasrif Khan Kureghor : সোশ্যাল মিডিয়ায় গান পোস্ট করেই ‘বড়লোক’! ‘কুঁড়েঘর’ থেকে কী ভাবে কোটিপতি তাসরিফ?

তিনি ছিলেন প্রচণ্ড লাজুক। তিনিই আবার গায়ক হতে চেয়েছিলেন। বাড়িতে সবার সামনে তাঁকে জোর করেও গান গাওয়ানো যেত না। লজ্জায় বন্ধুদের আড্ডাতেও গাইতে বুক কাঁপত তাঁর। ভয় ছিল লোকে তাঁর গান কী ভাবে নেবেন তা নিয়েই। তবে, সুযোগ পেলেই বেডরুমে বা বাথরুমে দরজা বন্ধ করে একা একা গান গাইতেন তিনি। সেই তাসরিফ খানই একদিন গড়ে তোলেন গানের ব্যান্ড ‘ কুঁড়েঘর’।

সাহস করে গান রেকর্ড করে ইউটিউবসহ সোশাল মিডিয়াতেও দিয়েছিলেন তাসরিফ। কিন্তু, তার ভিউ ছিল খুবই কম। যদিও কয়েকজন ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তাতেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পান ।

এখন ‘কুঁড়েঘর’-এর যেকোনও গানের ভিউ ৩-৪ কোটি। ফেসবুকে তাসরিফের ফলোয়ার প্রায় ষাট লাখ। আর কুঁড়েঘরের ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার ২৪ লাখ। তা থেকেই এখন কোটিপতি তাসরিফ। সেইসঙ্গেই দেশ-বিদেশের নানা জায়গা থেকেই এখন আমন্ত্রণ আসে তাসরিফের কাছে।

তাসরিফ এবং কুঁড়েঘরের প্রোগাম মানেই বাড়তি উন্মাদনা। কুঁড়েঘরের গাওয়া ‘ময়নারে’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘তাইতো আইলাম সাগরে’, ‘ব্যাচেলর’, ‘মধ্যবিত্ত’ গানগুলি শুনতে চান হাজার হাজার দর্শক। তবে কুঁড়েঘর তৈরি এবং এর সুরেলা সফরের সাফল্য খুব সহজ ছিল না।

যখন তিনি বাড়িতে গায়ক হওয়ার এবং ব্যান্ডের কথা বলেন সেই সময়ে বাড়িতেও আপত্তি আসে। তাঁকে পড়াশোনা করতে বলা হয়। কিন্তু পড়ায় মন ছিল না তাসরিফের। তাই তিনি দাদা তানভীর সিদ্দিকী এবং ভাই তানজীব খানকে নিয়েই শুরু করেন কুঁড়েঘর ব্যান্ড। পরে কয়েকজন বন্ধু তাতে যোগ দিলেও তারাও সরে যায়। যদিও গত দু’বছর ধরে তার সঙ্গে আছেন তানজীব খান, ইয়ামীন প্রান্ত, প্রিয়ম মজুমদার, ইমরান হোসেন, ফরিদুল হক ও শামসুল আলম।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে তিনি ‘নিথুয়া পাথারে’ গানটি মোবাইলে রেকর্ড করে ফেসবুকে দেন। মাত্র ৯০ জন মন্তব্য করেন তাতে। তারপরেই তিনি গড়ে তোলেন ‘কুঁড়েঘর’। তাসরিফ জানান তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন জেমস-এর অনুষ্ঠান থেকেই। তাদের ব্যান্ডের প্রথম গান ইউটিউবে দেওয়ার পরে একদিনে তা দেখেছিলেন ৪০০ জন। তার ‘সাবস্ক্রাইবার’ ছিলেন ২৪ জন। ৪০০ জন তাদের গান শোনার আনন্দে সেদিন রাতে কেঁদেছিলেন তাসরিফ।

২০১৬ থেকেই সাফল্য পেতে শুরু করে কুঁড়েঘর। তাদের গাওয়া ‘মধ্যবিত্ত’ গান রাতারাতি ভাইরাল হয়। তারপরে ‘তাই তো আইলাম সাগরে’ গান তাদের ব্যান্ডের টার্নিং পয়েন্ট। এর ভিউ হয় ৪০ মিলিয়ন। তারপরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কুঁড়েঘরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *