Anindya Chatterjee : ‘আর করব না…’, স্ত্রী গোপন প্রেম ধরে ফেলতেই এ কী করলেন গাঁটছড়ার রাহুল!

বাংলা টেলিভিশনের একসময় জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তালিকার শীর্ষে ছিল গাঁটছড়া। তবে খড়িহীন গাঁটছড়ায় টিআরপি একধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের গল্প দর্শকের মনে সেবাবে প্রভাব ফেলতে পারছে না। বদলে গিয়েছে ধারাবাহিকের টাইমস্লট। তবুও গাঁটছড়াও একনিষ্ঠ ভক্ত কিন্তু, আজও রয়েছে। আর তাঁদের পছন্দের অন স্ক্রিন জুটি দ্যুতি আর অনিন্দ্য। খড়িবিহীন গাঁটছড়ায় এই জুটির রোমান্স দর্শকের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু, অনিন্দ্য কি লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন? আর সেই জন্যই অনিন্দ্যর ফোন দেখতে চাইছেন দ্যুতি? অভিনেতার লেটেস্ট পোস্টে তো অন্তত সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।

এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য এক অন্য কাহিনি। বলা ভালো এক মজার ঘটনা। ইনস্টা হ্যান্ডেলে দ্যুতি আর অনিন্দ্যর কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মাইরি বলছি আর হবে না।’ তাহলে আর দেরী কীসের? জেনে নেওয়া যাক ঘটনাটা আসলে কী।

অনিন্দ্য আর দ্যুতির একটা কথপোকথন চলছে। সেখানেই দ্যুতি অনিন্দ্যকে ডেকে বলছেন, শোনো একটা দরকারি কথা আছে। এরপরই অনিন্দ্যর থেকে ফোনটা চান তাঁর অন স্ক্রিন স্ত্রী দ্যুতি। বউয়ের কথা শুনে তো একেবারে ভয়ে কাঁটা অনিন্দ্য।

তবুও দ্যুতি বলে চলেছেন, আমার চোখের দিকে তাকাও আর বলো ওই মেয়েটা কে। ভয়ে জুবুথুবু হয়ে অনিন্দ্য বলেন, আমি কোনও মেয়েকে চিনি না। কোন মেয়ে? এদিকে বউ তো ছাড়ার পাত্রী নয়। সত্যি কথা না বললে খুব খারাপ হবে সেই ভয়ও দেখান দ্যুতি।

এদিকে তো একেবারে ভয়ে প্রাণটা কাঁপছে অনিন্দ্যর। বলেই চলেছেন, আরে কী জ্বালা, আমি তো সত্যি বলছি। এবারে তো একেবারে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন দ্যুতি। অনিন্দ্যের কলার ধরে একেবারে অনিন্দ্যের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। ওদিকে কাতর স্বরে অনিন্দ্যর আর্তনাদ, আরে লাগছে তো।

আর কোনও উপায় না দেখে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন অনিন্দ্য। আর কোনওদিন এই ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞাও করলেন। উত্তরে দ্যুতি রেগে গিয়ে বলেন, এরকম কতবার যে শুনেছি…।

দ্যুতি-অনিন্দ্যর কীর্তি দেখে কমেন্ট বক্সে মজা করে টেলি অভিনেত্রী রমিতা দাস লিখেছেন, এরপরও আবার হবে। অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল মজার ইমোজি দিয়েছেন। তবে অনিন্দ্য-দ্যুতির এই মজার কহানির পরবর্তী অংশ যে আসছে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন অভিনেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *