‘দেশের সংকট সময়ে বড় ধাক্কা অর্থনীতিতে’

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ আসা কমে যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। এ নিয়ে সমকাল নিয়ে শিরোনাম করেছে, রেমিট্যান্সে ‘দেশের সংকট সময়ে বড় ধাক্কা অর্থনীতিতে’।

সেখানে বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এটি গড় প্রায় সাড়ে তিন বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। অথচ গত দুই বছরে বিদেশে নতুন করে কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ লাখ বাংলাদেশির।

প্রবাসী আয় কমার কারণ হিসাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি পাওয়া যায়। ফলে বেশি লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কোন কোন ব্যাংক একেবারেই রেমিট্যান্স আনতে পারেনি।

একই বিষয় নিয়ে প্রধান খবর করেছে আরও কয়েকটি পত্রিকা।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শিরোনাম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা, পরিবারের আবেদন ফের নাকচ।

এই খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন নাকচ করে রবিবার বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কোনও আবেদন একবার নিষ্পত্তি হলে তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে না।

তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক এবং মানবতাবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছে বিএনপি।

দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি হবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে যুগান্তর লিখেছে।

এর আগেও কয়েকবার তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন জানানো হলেও, সরকাররে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের বিদেশে চিকিৎসা নিতে অনুমতি দেয়ার সুযোগ সরকারের নেই।

এই বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের একটি খবরে বলা হচ্ছে, আইনমন্ত্রী নাকচ করে দিলেও এখনো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা আশা রয়েছে।

Are holes for Khaleda’s treatment abroad still alive? শিরোনামের খবরে বলা হচ্ছে, সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতরের ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এখনো খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগ রয়েছে। তবে সেজন্য পরিবারের সদস্যদের আদালতে যেতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান খবর খেলাপি ঋণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

এই খবরে বলা হয়েছে যে, খেলাপি ঋণে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জুন মাস শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে নতুন রেকর্ড ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এতো বেশি খেলাপি ঋণ হয়নি।

ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।

খবরে বলা হয়েছে, ঋণ পরিশোধে গত তিন বছর ধরে গ্রাহকদের নানারকম ছাড় দেয়ার পরেও ব্যাংকের টাকা অনেকেই ফেরত দিচ্ছেন না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুরো ব্যাংকিং খাতে।

একই বিষয় নিয়ে প্রধান খবর করেছে ডেইলি নিউএজ। তবে তাদের শিরোনাম Default loans rise by Tk 24,419cr in 3 months।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনাম, চাপেও নির্বাচনের পথেই হাঁটছে আওয়ামী লীগ।

সেখানে বলা হয়েছে, মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করুক বা না করুক সেটার বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

এজন্য দলটির তৃণমূল পর্যায়ে প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক চাপ ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কীভাবে নেতাকর্মীদের নির্বাচনমুখী করা যায়, সেই লক্ষে দলটির নীতিনির্ধারকরা কাজ করছেন বলে পত্রিকাটি লিখেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একটি বক্তব্য নিয়ে শিরোনাম করেছে দৈনিক সংবাদ। পত্রিকাটি লিখেছে, গত দুই নির্বাচনে বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর পড়েছে: সিইসি।

সেখানে বলা হয়েছে, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ ও বিতর্ক, সেটার চাপ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর পড়েছে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না, কমিশনের ওপর আস্থা নেই, বাজারে এমন ধারণা প্রচলিত আছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার চ্যালেঞ্জ নিতে চায় বর্তমান কমিশন।

দৈনিক আজকের পত্রিকার শিরোনাম উত্তেজনা ও শঙ্কার অক্টোবর। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধীদের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে অক্টোবর মাস।

পত্রিকাটি লিখেছে, এ মাসেই সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি। আর সরকার চায় কোনরকমে আন্দোলন সামাল দিয়ে মাসটি পার করতে। ফলে সর্বত্র একটা প্রশ্ন উঠেছে, কী হচ্ছে অক্টোবরে?

দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম No cheer from export and remittance। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয়ের রেকর্ড কমে যাওয়া আর রপ্তানি আয়ে মাসিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় ডলারের মজুদের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।

নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনাও কম। এর ফলে সামনের মাসগুলোয় ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমে যেতে পারে। যার ফলে মূল্যস্ফীতিও বাড়তে পারে। গত দুই বছরে টাকার মান ২৯.৩ শতাংশ কমে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে পত্রিকার এই খবরে বলা হচ্ছে, ব্যাংকিং খাত আর খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্যের কারণে খুব তাড়াতাড়ি প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ারও কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

মানবজমিনের একটি খবর হাজার ছাড়াল ডেঙ্গুতে প্রাণহানি।

এই খবরে বলা হয়েছে, এই বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী বেশি।

বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দুই লাখ অতিক্রম করেছে আগেই।

দেশে ইতোমধ্যেই ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক রোগী বাসা থেকেই চিকিৎসা নেন, যাদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে আসে না।

ডেঙ্গু নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের একটি খবরে বলা হয়েছে, হাসপাতালে আসার ৩ দিন পরেই মৃত্যু ৯৬ ডেঙ্গু আক্রান্তের। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন ঢাকা শহরে।

দৈনিক বণিক বাতার প্রধান খবর ভোলার গ্যাস বাদে বাপেক্সের গ্যাসফিল্ডগুলোর মজুদ নিঃশেষ হয়ে আসছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় কোম্পানি হিসাবে দেশে যে তিনটি কোম্পানি গ্যাস উত্তোলন করে, তাদের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাপেক্সের গ্যাসফিল্ডগুলোর মজুদ শেষের পথে।

শুধুমাত্র ভোলায় বাপেক্সের আবিষ্কার করা গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় মজুদ রয়েছে, কিন্তু সেই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। কমে সেই গ্যাস আসবে, তাও এখনো জানা যাচ্ছে না। মজুদ কমে যাওয়ায় বাপেক্সের উত্তোলনও কমে গেছে।

সংসদ অধিবেশন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটি যুগান্তর লিখেছে, ২০ শতাংশ সময় ব্যয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রশংসায়।

খরচের হিসাবে সেটার পরিমাণ ৫০৬ কোটি টাকা।

ওই খবরে বলা হয়েছে, কোরাম সংকটের কারণে জাতীয় সংসদের অধিবেদনে প্রতিদিন গড়ে ১৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময় নষ্ট হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় প্রায় ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সমালোচনায়।

সরকারের অর্জন নিয়ে কথা বলে ১৯.৪ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন। আর ১৮ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সময়।

অন্যান্য খবর

আজকের পত্রিকার একটি খবরে বলা হয়েছে, ডলার কারসাজির দায়ে জরিমানা ১০ ব্যাংককে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিকারকদের কাছে বেঁধে দেয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে ডলার বিক্রির অপরাধে বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

ব্যতিক্রমী একটি খবর ছাপা হয়েছে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায়। চাঁদা চেয়ে দুই শতাদিক বাড়িতে পোস্টার শিরোনামের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বগুড়ার কাহালু উপজেলার একটি গ্রামে দুই শতাধিক বাড়ির দরজা কিংবা দেয়ালে চাঁদা দাবি করে পোস্টারিং করা হয়েছে।

এসব পোস্টারে হুমকি দেয়া হয়েছে, গ্রামের একটি লাইট পোস্টের সঙ্গে থাকা বক্সে ২০০ থেকে ৬ হাজার টাকা চাঁদা দেয়া না হলে অক্টোবর থেকে গ্রামের ছেলে-মেয়ে হারিয়ে গেলে কারও কিছু করার থাকবে না।

এই পোস্টার দেখে সেখানকার গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অনেকে সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। তবে পুলিশ বলছে, মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে এই পোস্টারিং করা হয়েছে।

CategoriesUncategorized

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *