কলকাতাঃ নিম্নচাপের জেরে গোটা রাজ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে সাত জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নে ৭ জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপর মাইথন থেকে ৬০০০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৭৩০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে এই জল ছাড়ার পরিমান আরও বাড়তে পারে। মুখ্য সচিবকে জানানো হয়েছে, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বভাস রয়েছে। যার মধ্যে আগামিকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সেচ দফতরকে তাই বলা হয়েছে ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নজরদারি রাখতে পরিস্থিতির ওপর। বৈঠকে বলা হয়েছে, জেলাগুলি যেন পাঁচ ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট পাঠায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তার ওপরে ভিত্তি করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ঘনীভূত নিম্নচাপ! তুমুল বর্ষণে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ, কবে কমবে বৃষ্টি? রইল সর্বশেষ আপডেট
এ দিকে, জল ছাড়ার ফলে যে অঞ্চলগুলিতে জলমগ্ন বা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রয়োজন পড়লে সেই অঞ্চল গুলি থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র বা নিরাপদ জায়গায় সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও সিভিল ডিফেন্সের টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ। প্রয়োজন হলে যে এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, সেই অঞ্চলগুলিতে সিভিল ডিফেন্সের দল পাঠানোর নির্দেশ। ডিভিসি কত পরিমান জল ছাড়ছে সেই জল ছাড়ার পরিমাণ প্রতিনিয়ত জেলাশাসকদের জানানোর নির্দেশ।
মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, “পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি জেলার একাধিক অংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে নবান্ন। প্রয়োজনীয় ত্রান সামগ্রী মজুত করে রাখুন। জরুরি ভিত্তিতে যে বাঁধগুলি ভেঙে গিয়েছে, সেই বাঁধগুলি মেরামতি করুন। আজ থেকেই নির্দিষ্ট এলাকা ধরে ধরে সিভিল ডিফেন্সের টিম পাঠিয়ে রাখুন।” এ দিকে, জেলায় জেলায় ও মহকুমা স্তরের কন্ট্রোল রুম চালুর নির্দেশ মুখ্য সচিবের। আজ থেকেই কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ।
ঝাড়খণ্ডে জল ছাড়া নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব।রাজ্যের ৭ জেলায় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে আজ সোমবার ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক হবে নবান্নে। ইতিমধ্যেই DVC সংলগ্ন জেলাগুলিতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। জল ছাড়ায় একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।